স্টাফ রিপোর্টার-
গত ১৬ জুন প্রায় দীর্ঘ বিশ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বালিয়াকান্দী উপজেলা শাখার কমিটি গঠন হয়। উক্ত কমিটিতে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল হোসেন কে সভাপতি করে তিন সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গের নির্দেশ রেখে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় জেলা ছাত্রদল।
সেই আলোকে আজ ১৯ জুন সোমবার সকাল দশটায় বালিয়াকান্দী উপজেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি, নাজমুলের নেতৃত্বে বালিয়াকান্দীর আমতলা স্টান্ড থেকে একটি শুভেচ্ছা মিছিল বের করে।
শুভেচ্ছা মিছিলটি আমতলা স্টান্ড থেকে বালিয়াকান্দী বাস স্টান্ডে এসে সমাপ্ত কালে, মিছিল ও ছাত্রদল নেতা নাজমুল কে উদ্দেশ্য করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে স্থানীয় ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী।
এই সময় ছাত্রদল সভাপতি নাজমুলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি সহ একাধিক নেতাকর্মী মারাত্মক ভাবে জখম হন। পরে স্থানীয় জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীরা নাজমুল কে উদ্ধার করে নাজমুল সহ আহত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য রাজবাড়ী লাইফ কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যায়। নাজমুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরে ফরিদপুর রয়েল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, এখন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
বালিয়াকান্দী উপজেলা ছাত্রদল নেতা নাজমুল এক বিবৃতিতে জানান,
দীর্ঘদিন বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠন এর বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আমরা জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বুকে লালন করে ব্যপক বাধার মুখে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে, গণতন্ত্রহীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।
আমি ছাত্রদলের একজন নিবেদিত প্রাণ, ছাত্রদল সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে রাজপথকে গতিশীল করতে দীর্ঘ বিশ বছর পর জেলা আমাদের উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি দিয়েছে এবং আমাকে সংগঠনটি সুসংগঠিত করার মহান দায়িত্ব দিয়েছে। সেই আলোকে আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ শুভেচ্ছা মিছিলের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদলের উজ্জীবিত প্রাণ প্রকাশ করতে চেয়েছি মাত্র,
কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের অতর্কিত হামলা প্রমাণ করে তাঁদের দেউলিয়া রাজনীতি এখন ক্ষমতার মরিয়া হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনকে রক্তাত করছে।