অবিলম্বে সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধের দাবি

মঙ্গলবার, জুন ২০, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম : দৈনিক দিনকাল, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ানসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শীর্ষ সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে এসব বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও ঈদের আগে সকল গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধের দাবি জানান। নেতারা সাংবাদিক নাদিম হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন। পাশাপাশি এসব বন্ধ মিডিয়া খুলে না দেয়া হলে ঈদের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানি, ডিইউজে সহ-সভাপতি রফিক মোহাম্মদ, রাশেদুল হক, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান সাজু, দৈনিক দিনকালের ইউনিট চিফ আব্দুল্লাহ জেয়াদ ও ডিইউজে সাবেক নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন খান মোহন।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে একের পর এক বিরোধী মতের গণমাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এসব করে তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সাংবাদিক সমাজের নেতৃত্বে সকল পেশাজীবিদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে অবিলম্বে এই সরকারকে বিদায় করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা হবে।

এম আব্দুল্লাহ বলেন, এই সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে ৫৫ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। একটি হত্যাকা-েরও বিচার হয়নি। প্রথমে আইওয়াশ করার জন্য হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের পুলিশি হেফাজতে নেয়া হলেও পরে তারা মুক্তি পেয়ে যায়। কারণ তারা সরকার দলীয় লোকজন। তাই বলছি, এই সরকারের আমলে বিচার চেয়ে লাভ নেই। এই সরকারের পতন ঘটানোর মাধ্যমে সাংবাদিক হত্যার বিচার করা হবে।

নুরুল আমিন রোকন বলেন, যে সময় আমাদের সংবাদ পরিবেশনের কাজে ব্যস্ত থাকার কথা ছিলো ঠিক সেই সময় আমরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিন। আমাদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে কোনো দাবি জানিয়ে লাভ নেই। এদেরকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফেরৎ পাবো। হত্যাকা-ের শিকার সাংবাদিকদের হত্যার বিচার পাবো।

সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অবিলম্বে বন্ধ সকল গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে। সকল প্রকার সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকদের উপর হামলা নির্যাতন বন্ধ না করা হলে সাংবাদিক সমাজ অনতিবিলম্বে এর কঠিন জবাব দিবে।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম বলেন, অবিলম্বে দিনকালসহ বন্ধ সকল গণমাধ্যম খুলে দিন। তা নাহলে ঈদের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।

ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিক লিটন, জনকল্যাণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন রাজ্জাক, দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বিএফইউজের সাবেক দফতর সম্পাদক আবু ইউসুফ, নির্বাহী সদস্য মো. আবু বকর মিয়া, মো. জাকির হোসেন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দীন দরবেশ, এম. মোশাররফ হোসাইন, তালুকদার রুমি, আবদুল্লাহ মজুমদার, ফখরুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, হুমায়ুন কবির, মতিউর রহমান সরদার, তালুকদার বেলাল, এম আই ফারুক প্রমুখ।