টিভি ডিজিটাল মিডিয়ার নাটকে অশ্লিলতার আগ্রাসন বন্ধে সেমিনার

বৃহস্পতিবার, জুন ২২, ২০২৩

আসলাম ইকবালঃ
সুস্থ ধারার ধারক-সচেতন নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’ ‘টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমের নাটকে অশ্লিলতার আগ্রাসন ও আমাদের করনীয়’ শিরোনামে ১৭ জুন সকাল ১১টায় শিল্পকলার সেমিনার হলে এই বিশেষ একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। এই সংগঠনের শিল্পসহযোদ্ধা আরো চারটি সংগঠনকে যুক্ত করে এই আয়োজনটি করেছিলেন। আয়োজনে যুক্ত ছিলেন টেলিপ্যাব, অভিনয় শিল্প সংঘ, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ ও ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সেমিনারে টিভি, ইউটিউব, ফেইস বুক ও ডিজিটাল মাধ্যমে বর্তমান বা চলমান প্রবণতা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন গিল্ডের সভাপতি অনন্ত হীরা। মুক্ত আলোচনায় এর প্রতিকারের পক্ষে মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরা হয়। দেশ, মাটি-মানুষের মূল্যবোধের যে সংকট, রুচির যে সংকট, সামাজিক ও পারিবারিক মানবিক যে সংকট সেগুলো আর এখন নাটকের বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারছে না। ফলে বাংলা নাটকে বাবা, মা, ভাই, বোন মামা, আত্মীয় বন্ধুর মত চরিত্র গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। নাটকে এ জাতীয় চরিত্র থাকলে নাকি ক্রীন ভ্যালু কমে যায়। এমন স্ক্রীন ভ্যালু বা ভিউ শুধু ইয়াং হিরো-হিরোইনদের। এমন বাস্তবতায় শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক হিরো হিরোইন দের ছাড়া গুণী সৃজনশীল শিল্পীদের হাতে কাজ নেই। একমাত্র প্রেম নির্ভর গল্পের কারনে বৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। টিভি ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে নাটকে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল দৃশ্য ধারণ, অশ্লীল সংলাপ ব্যবহার এবং নামেও রুচিহীনতা আর অশ্লীলতার আগ্রাসন বাংলা নাটকের গৌরবময় ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রুচিহীনতা ও অশ্লীলতা গ্রাস করছে।
সেমিনারেরর শুরুতে সিনিয়র অভিনেতা, নাট্যকার ও পরিচালক মামুনুর রশীদ উদ্ভোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। তারপর শহিদুল্লাহ শোভন, অভিনেত্রী নাজনীন চুমকী, হারুন উর রশীদ, টেলিপ্যাবের সভাপতি মনোয়ার পাঠান, আইস্ক্রীন এর অভিনেতা রিয়াজ, মাছরাঙ্গার অনুষ্ঠান নির্বাহী আরিফুর রহমান, একুশে টিভির সাইফ আহম্মেদ, পরিচালক শহীদ রায়হান, এস এ হক অলিক, পিকলু চৌধুরী, গিল্ডের সহ সভাপতি মনোজ সেন গুপ্ত, গাজী টিভির অনুষ্ঠান নির্বাহী মোহাম্মদ মুজাহিদুল আলম মতামত তুলে ধরেন। পরে অশ্লীল নাটকের ক্লিপিং দেখানো হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন গিল্ডের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম রন্টু।