অসহায় জীবন বাঁচাতে সাহায্য করুন: বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছে ইসমাঈল

শুক্রবার, জুলাই ৭, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম ।।

অসহায় ইসমাইল হোসেন মোল্লা (৪২) জীবন বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। ইসমাইল দীর্ঘদিন ধরে লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক রোগে ভুগছেন। জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশনসহ উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইসমাইল হোসেন মোল্লা রাজবাড়ী’র কালুখালী উপজেলার ১ নং রতনদিয়া ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের মৃত মামুদ আলী মোল্লার ছেলে।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ ইসমাইল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। দিনমজুরের কাজ করে পরিবারের সকল ব্যয় মেটাতে হয়। অসুস্থ শয্যশায়ী হওয়ার পর থেকে কাজকর্ম করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তার তিন’টি সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান নাজিমুদ্দিন এসএসসি পাস করে অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে না পেরে, মৃত্যু পথযাত্রী অসুস্থ বাবাকে বাঁচাতে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে জলাঞ্জলি দিয়ে বর্তমানে কাঠমিস্ত্রী কাজের হেলপারি করছে। মেয়েটা এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট সন্তান’টি মাদ্রাসায় শিশু শ্রেণীতে হাফেজি পড়াশোনা করে (৮ পাড়া)। টাকার অভাবে তার সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছে। একদিকে সংসার চালাতে ব্যর্থ, অন্যদিকে নিজের চিকিৎসা খরচ বহন সবই বন্ধ হয়ে বিপাকে পুরো পরিবার। অথই সাগরে নিমজ্জিত সবার জীবন।

 

অসুস্থ ইসমাইলের বড় সন্তান নাজিমুদ্দিন জানান, বাবার এ পরিস্থিতিতে নিজেদের বড্ড অসহায় লাগছে। একদিকে পরিবারের অসহায়কতা অন্যদিকে বাবার যন্ত্রণার ছটফট এ বয়সে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টের। সকলের কাছে বাবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নাজিমুদ্দিন।

 

অন্যদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই তিনিসহ তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে সাহয্যের আবেদন জানিয়েছেন। অসহায় মৃত্যু পথযাত্রী ইসমাইল মোল্লা’র চিকিৎসার জন্য সমাজের সকল মানবিক মানুষের সহায়তা চায় তার পরিবার। আর্থিক সাহায্য পাঠানোর মাধ্যমে বেঁচে যেতে পারে একটি জীবন এবং একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন। সাহায্য পাঠানোর জন্য, ঢাকা মেডিকেল নতুন বিল্ডিং রুম নম্বর ৪ বেড ২০ ওয়ার্ড ৬০১ লিফটের ৫ তলা। বিকাশ (পার্সোনাল)

+8801982-628984

নগত (পার্সোনাল) +8801771-080990

উপরোক্ত দুটি নাম্বারই রোগীর ছেলে নাজিমুদ্দিনের।