স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাহরাইন প্রবাসী মাসুদুর রহমান মির্জা হত্যা মামলায় জামিন শুনানি শেষে ৩ আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত । গতকাল চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানাগেছে, ৯ তারিখ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও সুরতহাল প্রতিবেদন সহ আসামীদের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও সুরতহাল প্রতিবেদনে ভিকটিম মাসুদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ আরো একাধিক আঘাত থাকায় আসামীদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া। আসামিরা হলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম।
মামলার আইনজীবী এডভোকেট ইউসুফ আল মাসুদ জানান, আমরা শুনানিতে মাসুদুর রহমান মির্জা হত্যায় আসামীদের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান আদালতের কাছে উপস্থাপন করে জামিন বাতিলের আবেদন জানাই। বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে এ মামলার ৫ জন আসামি হাজতে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, আমরা মির্জা হত্যা মামলাটি তদন্ত করছি। মামলার এজাহার ভুক্ত তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়। পরবর্তীতে আসামি পক্ষের আইনজীবীর আবেদনে বিজ্ঞ আদালত আদেশটি স্থগিত রাখে।
ঘটনার বিবরনঃ
গত ২৫ মার্চ রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা বাজার মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ শেষে বের হওয়ার পর প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বাহরাইন ফেরত প্রবাসী মাসুদ মির্জাকে।
এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ভুজপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই মাহফুজুর রহমান বাবু।
ঘটনার দিনই শামীম হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে বিক্ষুব্ধ জনতা । বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আকতারকে জেলে পাঠায় আদালত। বাকি তিনজন জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ৯ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে তাদের জেলে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম। এ নিয়ে মির্জা হত্যাকন্ডে জড়িত এজাহার ভুক্ত ৬ আসামি জেল হাজতে রয়েছে।
মামলার বাদী মাহফুজুর রহমান বাবুর অভিযোগ, তার ভাই মাসুদুর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এক ইউপি সদস্যকে সমর্থন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদুরকে খুনের নির্দেশ দেন যুবলীগ নেতা আকতার। তার নেতৃত্বে অপরাপর আসামীরা হত্যাকান্ডে অংশ নেন।