আবুল কাশেম জামালপুরঃ-
জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরাকে থাপ্পড় মারা এবং লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন ইসলামপুরের নারীর সমাজ। তারা প্রধান মন্ত্রী ও স্পিকারের কাছে নারী এমপিকে থাপ্পড় ও লাঞ্ছিত করার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।গত শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের রেলগেইট এলাকা থেকে নারী সমাজের এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা মোড় বটতলা চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন নারী সমাজ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম জাফর ইকবাল জাফু উপস্থিত নারীদেরকে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আশ্বাস দেন। পরে নারীরা যার যার বাড়ি ফিরে যান। উল্লেখ্য গত (১৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। হোসনে আরা এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ঐদিন সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দেশের ৬৩ জেলায় হওয়া সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা ছিল। বিনা আমন্ত্রণে আমি ওই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি ও ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের আসনটি খালি দেখে আমি তার সম্মানে দাঁড়িয়ে থাকি। তিনি সভাস্থলে এসে তার আসনে বসেন। আমিও একটি আসনে বসি। আমি উপস্থিত সভাপতির ও নেতাদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই যে আমাকে কেন সভা-সমাবেশ বা কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয় না। ওই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বহিষ্কৃত নেতাআনোয়ারুল হক হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও গায়ে থাপ্পড় মারেন। তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী মহোদয় চাইলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি বরং উল্টা আমাকেই শাসিয়েছেন। তবুও আমি নিরবে ধৈর্যধারণ করেছিলাম। আমার দল আওয়ামী লীগ ও আমার প্রাণের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়, আমি সেটাই চেয়েছিলাম। আমি স্থানীয় এমপির সাথে সব সময় সমন্নয় করে চলার চেষ্টা করেছি। এমন ঘটনা ঘটবে, আমার জানা ছিল না। আমি কাউকে জানাতেই চায়নি। কিন্তু ঘটনাটি মুহূর্তেই চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে।