নিজস্ব প্রতিনিধি ::
ঋতুচক্রে ঝরো ঝরো বর্ষার পরিক্রমায় শরতের আগমন। কাশবনের উপর দিয়ে আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা ভাসিয়ে এসেছে শরৎকাল। ঋতুর রানী এই শরৎকালে পাক্ষিক খবরিকা, মাসিক দুর্বার পত্রিকা ও সুরচর্চা সংগীত পরিষদের আয়োজনে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং, ১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শনিবার, বিকাল ৩টায়, মীরসরাই উপজেলা অডিটোরিয়ামে গান, নৃত্য, আবৃত্তি ও কথামালায় ‘শরৎ উৎসব-১৪৩০’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে কবি ও গীতিকার শাখাওয়াত উল্লাহ রিপনের সভাপতিত্বে, কবি ও সাংবাদিক মাহবুব পলাশ ও সাংবাদিক রাজিব মজুমদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাদা মনের মানুষ হিসেবে সংবর্ধিত বিশিষ্ট নাট্যজন দৈনিক আজাদীর ফিছার এডিটর প্রদীপ দেওয়ানজী, প্রফেসর ডাঃ জামশেদ আলম, ঢাকাস্থ এফবিসিআই এর সদস্য এবং খবরিকার প্রধান উপদেষ্ঠা জয়নাল হোসেন বাপ্পী, সংগীত শিল্পী রনজিত ধর, সংবর্ধিত সাংবাদিক নুরুল আলম, কবি সিত্তুলা মুনা সিদ্দিকা, কাজেম আলীর সহ প্রধান শিক্ষক লুৎফুল কবির ভূঞা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবুল সেন, ডাঃ মানিক চন্দ্র নাথ ডাঃ মকুল চন্দ্র নাথ, সংগীত শিল্পী সঞ্জীব কুমার নাথ বিভাস, কবি শাহাদাৎ হোসেন লিটন, সীতাকুন্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি শুক্কুর চৌধুরী, কবি সেলিম তালুকদার আকাশ, সাংবাদিক রাজু কুমার দে, আনোয়ারুল হক নিজামী, ইকবাল হোসেন, কামরুল ইসলাম, সানোয়ারুল ইসলাম রনি, জুয়েল নাগ, রবি করিম, জাবেদ হোসেন, রিপন গোপ পিন্টু, টিটু নাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন প্রতাপ বনিক রানা, হাসান সাইফুদ্দিন, চন্দনা চক্রবর্তী ও তাসনিম মাহবুব তানহা। সংগীত পরিবেশন করেন কামরান মেহেদী, সুরচর্চা সংগীত পরিষদের শিক্ষার্থী প্রসূন দেবনাথ পার্থ, অনন্য দে নিলীম, শ্রাবন্তী দেব নাথ, রায় কিশোরী কর্মকার, মোস্তারি খানম অপি, হিমেলনাথ, তন্দ্রা দাশ, মিথিলা নাথ, নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন অনুপমা, তুষি, প্রিয়ন্তি তনিমা, উর্মি, শ্রীপর্ণা, অথৈ, পূর্বা, ইন্দ্রাণী, কমলিকা, দীপান্বিতা, লাবন্য, নন্দিতা, অমিতা, নবনীতা, শাহরিন প্রমূখ। ছড়া আবৃত্তি করে ছোট্ট বন্ধু সোহান।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, পাক্ষিক খবরিকা, মাসিক দুর্বার পত্রিকা ও সুরচর্চা সংগীত পরিষদের আয়োজনে গান, কবিতা, নৃত্য ও কথামালায় শরৎ উৎসব ১৪৩০ অনুষ্ঠান আমাদের বিমুগ্ধ করেছে। শরৎকাল বাঙালি মানসিকতার সঙ্গে ঋতুবৈচিত্রের নানা অনুষঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই যে শরতের বিশাল নীলাকাশ তা আমাদের মনের গভীরতাকে আরও প্রসারিত করে, মনকে আরও উদার করে। আমি মনে করি, সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষের মন যত উদার হবে দেশ তত বেশি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক হবে। অনুষ্ঠানে সেরা কবি হিসেব পুরস্কার গ্রহন করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কবিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে রত্নগর্ভা মা লক্ষি রাণী দেবী ও পিতা তপন চন্দ্র নাথ সংবর্ধিত হন। তাদের দুই সন্তান ডা: মানিক চন্দ্র নাথ ও ডা: মুকুল চন্দ্র নাথ চিকিৎসা সেবায় অবদান রয়েছে।