রূপালি ব্যাংকের খুলনার জোনাল অফিসের মহাব্যবস্থাপকের একান্ত সচিব মোঃ সাহিদুর রহমান। চাকরিতে বদলী বাধ্যতামূলক থাকলেও ২০১১ সালে যোগদান পরবর্তীতে খুলনায় কর্মরত রয়েছেন। জড়িয়ে পড়ছেন নানা অনিয়মের সাথে, যা নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপকবৃন্দ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ সাহিদুর রহমান কোন এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় তিনি একই ভবনের বিভাগীয় কার্যালয় থেকে জোনাল অফিস অথবা রূপালী সদন আবার জোনাল অফিস অথবা রূপালী সদন থেকে বিভাগীয় অফিসে বদলী দেখিয়ে একান্ত সচিব হিসাবেই একই চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোন প্রকার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন না করে একই চেয়ারে বসেই তিনি অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার ও সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার পদে পদায়ন লাভ করেন। জোনাল অফিস অথবা রূপালী সদনে বদলী হলেও তিনি একান্ত সচিব হিসাবেই কাজ করায় অফিস বা ভাউচারে তার কোন স্বাক্ষর নেই। এভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রমোশনসহ একই চেয়ারে এক যুগেরও বেশী এবং মহাব্যবস্থাপকের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে তিনি প্রচুর অবৈধ কর্মকান্ড ও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন যা ব্যাংকিং ব্যাবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয় খুলনা বিভাগীয় রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের একান্ত সচিব মোঃ সাহিদুর রহমান রূপালী ব্যাংক লিঃ, কর্মচারী গৃহ ঋণের সমুদয় সিলিং ভোগ করলেও তিনি গৃহনির্মাণের কোন কাজ না করে সম্পূর্ণ অর্থ তছরুপ করেছেন যা সরেজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। তিনি গাড়ির ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে রূপালী ব্যাংক লিঃ এর মোটরসাইকেল লোন উত্তোলন করেছেন এবং কোন মোটর গাড়ি ক্রয় না করে লোনের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন ব্যবস্থাপকদের তাদের পছন্দ মতো শাখায় বদলীর জন্য শাখা বিশেষে তিনি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি ঢাকায় বিশাল ফ্লাট ক্রয়সহ খুলনা ও যশোরে নামে ও বেনামে একাধিক জমি ক্রয় করেছেন। তিনি খুলনা জোনের বিভিন্ন ব্যবস্থাপকের ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করে ও দূরে বদলীর ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণ করেন এবং এভাবে নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে তিনি এফডিআর, সঞ্চয়পত্র করেছেন যা নিরেপেক্ষ তদন্ত করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে যাবে। ব্যাংকের দুর্নীতিগ্রস্থ মোঃ সাহিদুর রহমান বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দুদক দ্বারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগকারিরা।