আসলাম ইকবালঃ
ভারতের নয়া দিল্লীতে শেষ হয়েছে দ্ইু দিন ব্যাপী ডি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির জোটভূক্ত দেশের বিশ্বনেতারা একত্র হয়েছিল দিল্লীতে। সম্মেলনের উদ্ভোধনীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সভাপতি নরেন্দ্র মোদি বলেন-বিশ্ব এখন আস্থার ঘাটতিতে ভূগছে। তিনি আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এখন সময় সবাই মিলে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার।
এবারের শীর্ষ সম্মেলনে জি-২০ এর সদস্য নয় এমন নয়টি দেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই তালিকায় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়া শেখ হাসিনা এ দেশের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই জি-২০ সম্মেলনে যোগাদান করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব আলোচনায় রয়েছেন। নয়াদিল্লীতে জি-২০ সম্মেলনে যোগাদান কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সেলফি ছবি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জোড় আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এতো গেল আলোচিত জো বাইডেন সাহেবের সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবির ঘটনা।
অপর দিকে ফেসবুকে একটা পারিবারিক ছবি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমার বন্ধু, সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ, দিল্লীতে বাংলাদেশ মিশনের কুটনৈতিক কর্মকর্তা। দিল্লী হাইকমিশনের প্রেস মিনিষ্টার শাবান মাহমুদ ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছেন। জি২০ সম্মেলন স্থলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে একটি পারিবারিক ছবি তুলেছেন। দিল্লীতে এক ফ্রেমে গোপালগঞ্জবাসী। শাবান মাহমুদ এর বাড়িও গোপালগঞ্জে। জাতির পিতা বঙ্গ বন্ধুর সুযোগ্য ২ কন্যা ও নাতির সাথে আমার বন্ধু শাবান মাহমুদের এই ছবি জাতির পিতার কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ পেয়েছে। দিল্লী হাইকমিশনে তার নিয়োগদাতা ও দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিভাবককে কাছে পেয়ে গোপালগঞ্জবাসী একফ্রেমে বন্দী হওয়া অনেক আনন্দের। দিল্লী মিশনে শাবান মাহমুদ কুটনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় তিন বছর হলো। এই দায়িত্ব পালনের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অনসিকার্য। বন্ধু শাবানের দায়িত্ব ও নিষ্ঠার প্রতি রইলো অনেক আন্তরিক ভালোবাসা। আমি আশা করি তার দায়িত্ব পালনে অনেক সক্রিয় ও সচেষ্ট থাকবে।