আন্তর্জাতিক দুর্যেোগ প্রশমণ দিবস-২০২৩
জাতির সংবাদ ডটকম।।
১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমণ দিবস উপলক্ষে কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি)’র স্ট্রেংদেনিং পিপল’স একশন অন ক্লাইমেট রিস্ক রিডাকশন এন্ড এনার্জি এফিসিয়েন্সি (স্পেস) প্রকল্পের সহায়তায় খুলনা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখার সমন্বয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের অংশগ্রহনে “অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক থেকে কালেক্টরেট চত্বর অভিমুখে একটি বন্যাঢ্য র্যালী এবং র্যালীত্তোর আলোচনা সভা ডিসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (চলতি দায়িত্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন সিকদার, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, কেএমপি’র প্রতিনিধি, জাতির সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, এনজিও’র কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন অফিসার মোঃ আব্দুল করিম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমণ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎগড়ি” বৈশ্বিক দৃষ্টিকোন থেকে যদি চিন্তা কার তাহলে দেখা যায় বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কারণ আমরা কার্বন নির্গমন করছি অতি নগন্য মাত্রায় কিন্তু সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আমরাই বসবাস করছি। আবার যদি দেশের অভ্যন্তরে দেখি তাহলে শহর এবং গ্রামের মধ্যে অনেকটা বৈষম্য দৃশ্যমান, গ্রামের নাগরিকদের থেকে শহুরে নাগরিক সুবিধা অনেকাংশে বেশি। যদিও প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে, গ্রাম হবে শহর। তবে এই উন্নয়নটা আবার আমরা সমানভাবে করতে পারছিনা, অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সকল সেক্টরকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে এই বৈষম্য হ্রাস করা সম্ভব। একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে সকলের মধ্যে দেশ প্রেম থাকতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ২০০৭ সালের পূর্বে শুধু দূর্যোগ ঝুঁকির মোকাবিলা করা হবে এমন কথা শোনা যেত তবে সিডরের পর থেকে দেশি বিদেশী সকল প্রতিষ্ঠানগুলো বাস্তবে কাজ করছে। এর ফলে পরবর্তীতে যে সকল দূর্যেোগগুলি সংঘঠিত হয়েছে সেখানে উদ্ধার কাজ সফলভাবে করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তবে এডিসি (জেনারেল) পুলক কুমার মন্ডল বলেন, বর্তমান সময়ে অগ্নিকান্ড একটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এর মূল কারণ হিসেবে দেখা যায় ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট হয়। অনেক পুরানো বাড়ি আছে যেগুলো আজ থেকে ২০-৫০ বছর পূর্বে ওয়্যারিং করা সেটি আর রিপেয়ার করা হয়না। এগুলো একটা সময় পর টেম্পার শেষ হয়ে নষ্ট এগুলোর বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। এছাড়া আমরা বড়বড় এ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করছি কিন্তু সেখানে দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ী প্রবেশের জায়গা রাখছিনা। এগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।