প্রতিবাদী শ্রমিকদের ওপর গুলি ও হত্যার তীব্র নিন্দা এবি পার্টির

বুধবার, নভেম্বর ১, ২০২৩

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

ন্যায্য মজুরী সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও পুলিশের গুলীতে রাসেল হাওলাদার (২৬) সহ তিনজন শ্রমিকের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি অ্যাড. তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফু্য়াদ, ব্যারিষ্টার যুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

 

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মিনার বলেন, শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে রেমিটেন্স আসলেও তাদের অধিকার ও ন্যায্য বেতন নিশ্চিত করা হচ্ছে না, মালিক পক্ষ ও স্বৈরাচারী সরকার অকৃতজ্ঞ আচরণ করছে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি এবি পার্টির দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। অবিলম্বে নূন্যতম মজুরী মূল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে ২৫ হাজার টাকা করবার দাবী জানানো হয় ব্রিফিং এ। প্রতিবাদরত শ্রমিকদের ওপর সরকারী দলের কর্মীদের হামলারও তীব্র নিন্দা জানান তিনি। পাশাপাশি আহত ও নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার এবং তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

 

ব্রিফিং এ অ্যাড. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা ‘জীবন মানের (Living Wage) সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি’র জন্য আজ জীবন উৎসর্গ করে যে আন্দোলন করছে, সে দাবীকে এবি পার্টি সমর্থন করে। ‘শুধু বেঁচে থাকার জন্য মজুরি দেয়ার বেইনসাফী চক্র থেকে গার্মেন্টস শিল্পকে বেরিয়ে আসতে হবে। বৃহত্তম রপ্তানির এই খাত দেশকে উন্নতির মুখ দেখিয়েছে কিন্তু এতে কর্মরত শ্রমিকদের হক আদায় হয়নি বরং দাস প্রথাকে আধুনিকিকরন করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে স্বদেশী মুদ্রার মান ৩০ শতাংশ কমে গেছে এবং প্রকৃত হিসাবে এই সময়ে নিত্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে প্রায় শতভাগ। এমন পরিস্থিতিতে সকল শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীরাই অর্ধাহারে, অনাহারে ভীষণ কষ্টের জীবন যাপন করছেন।

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে কুটনীতিক ও উন্নয়ন অংশীজনদের উদ্দেশ্যে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, পোশাক শিল্পের প্রায় ৫০ লক্ষ নারী শ্রমিকদেরকে শিল্প মালিকরা আধুনিক জমানার দাস হিসেবে ব্যবহার করছে যা কোনভাবে কাম্য হতে পারে না। দীর্ঘমেয়াদে গার্মেন্টস শিল্পের স্বার্থে প্রতিবাদী শ্রমিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।