জাতির সংবাদ ডটকম।।
প্রথিতযশা এক নক্ষত্রের নাম ফজলুল হক। সুদূরপ্রবাসী আমেরিকায় বসবাস করেও দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন কুমিল্লা বুড়িচং বাকশিমুল গ্রামের এই কৃতি সন্তান। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি বাংলাদেশ মুসলিম এসোসিয়েশন অফ মিশিগানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বৃহত্তর কুমিল্লা এসোসিয়েশন অফ মিশিগানের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি, বাকশীমূল প্রবাসী কল্যাণ সংগনের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সভাপতি, এবং মিসিগান আমেরিকান ডেমোক্রেটিক (ককাস) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, হাজী আবদুল আজিজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ আরো অনেক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশেষ করে তিনি কুমিল্লার বুড়িচংগের গরীব, দুঃখী ও মেহনতী মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে সবসময়ই নিজের সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দিয়েছেন। অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িছেন তিনি। সম্প্রতি
করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে যখন সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে ঠিক সেই সময়ে বুড়িচংগের অসহায় খেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত ফজলুল হক অসহায়দের পাশে থেকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন। করোনার সময়ে খেটে খাওয়া অসহায় পরিবারের মাঝে খাবার দিয়েছেন। এতে তিনি সাধারন মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। ফজলুল হকের মনের সরলতা ছুঁয়েছে গ্রামের মানুষের কোমল হৃদয়।
বর্তমানে তিনি প্রবাসে থাকলেও দেশের জন্য রয়েছে তার অকৃত্রিম ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকায় বসেও কাজ করছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
ইতিমধ্যে তিনি বাঘ শিমুল ইউনিয়নে প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসা ও হাই স্কুল পড়ুয়া গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে স্বাধ্যমত বৃত্ত প্রদান করে আসছেন। ইউনিয়নের সকল মসজিদ-মাদ্রাসায় গরীব এতিম ও বিধবাদের সহায়তা সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মানব সেবায় ব্রত এ মানুষটি। সমাজের প্রায় প্রতিটি ধাপের উন্নয়নমূল কাজে জড়িত ফজলুল হক।
ফজলুল হক বলেন, সব সময় আমি অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সামনের দিকেও গরীব, দুঃখী মানুষের পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করতে চাই।
তিনি মাদকমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, শিক্ষা বান্ধব এবং বৈষম্যহীন আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান বুড়িচং উপজেলাকে।