রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শিশু সামারার  সাহসী পদক্ষেপ : জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা 

সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০২৪

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সরকারী দমন-পীড়ন চরমে ছিল, তখন পুলিশের নজরদারির মাঝেও একটি ছোট শিশু সাহসীভাবে ২০১৭ সালে ৭ই নভেম্বর পালন করার অদম্য ইচ্ছা প্রকাশ করে। সেই সাহসী শিশু, গ্রীন হেরাল্ড  স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সামারা ইসলাম, যিনি সেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে ৭ই নভেম্বরের গুরুত্ব ও স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

৭ই নভেম্বর, বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা সাধারণত রাজনৈতিকভাবে স্মরণ করা হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মমুখী নেতৃত্ব এবং তাঁর অবদানের কারণে। তবে, বিশেষ করে ২০১৭ সালে, তৎকালীন সরকার কর্তৃক কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকায়, ওই দিনটি পালন করা ছিল প্রায় অসম্ভব। অনেকেই আতঙ্কে ছিলেন, পুলিশের নজরদারি থেকে মুক্ত থাকতে পারে এমন কেউ কম ছিল। কিন্তু সামারা ইসলাম, যিনি তখন মাত্র দশ বছর বয়সী, তার সাহসিকতা ও দৃঢ় মনোবল দিয়ে প্রমাণ করলেন যে, সত্যের প্রতি বিশ্বাস এবং ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা কখনো ছোট করে দেখা উচিত নয়।

 

সামারা ইসলাম তার বন্ধুর সাথে মিলিত হয়ে খুবই সাবধানতার সাথে ৭ই নভেম্বরের সকালে শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে পৌঁছান। সেখানে, কোন ভয় বা আতঙ্কের তোয়াক্কা না করে, তিনি শহীদ প্রেসিডেন্টের প্রতি ফুল নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরে আসেন। তার এই সাহসী কর্মকাণ্ড এমন এক সময় ঘটেছিল, যখন দেশে ৭ই নভেম্বর পালন করা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

তখনকার পরিস্থিতিতে, দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যমে সামারার এই কাজের সংবাদ প্রকাশ পায় এবং তার এই দৃঢ় মনোবল ও নৈতিকতার প্রশংসা করা হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, “এমন এক মুহূর্তে যখন দেশের যুব সমাজ অনেক সময় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখন সামারা ইসলামের মতো এক শিশু আমাদের মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসের মূল্য, দেশপ্রেম ও সাহসিকতার গুরুত্ব।”

 

তবে, এই ঘটনা শুধু সামারা ইসলামের ব্যক্তিগত সাহসিকতারই নিদর্শন নয়, এটি বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য একটি প্রেরণাদায়ক উদাহরণ। সামারা ইসলামের সাহস দেশের প্রতি তার ভালোবাসার গভীরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা যেতে পারে।

 

এছাড়া, তার এই কর্মের মাধ্যমে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে, যে বাংলাদেশে যতই রাজনৈতিক সংকট থাকুক, ইতিহাস এবং স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা কখনো স্তব্ধ করা সম্ভব নয়।