মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি রাজাকারদের তালিকা করতে হবে – বাহাউদ্দিন নাছিম

রবিবার, মার্চ ৩১, ২০২৪

 জাতির সংবাদ ডটকম।।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয় কিন্ত রাজাকারদের তালিকা করা হয় না। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি রাজাকারদের তালিকা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে এদেশীয় যে সকল রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানীদের দোষর হিসেবে এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। মা বোনদের সম্রামহানী করেছে, সেই সব রাজাকারদের তালিকা করতে হবে। পাকিস্তানীদের অভিষপ্ত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। অধ্যাবদি এখনও যারা বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রানীত করে, আগামী দিনে এগিযে নিয়ে যেতে হবে।

“মুক্তিযুদ্ধে মঠবাড়ীয়া ও দক্ষিণাঞ্চল” বইয়ের মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাইটির মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এ কথা বলেন।

 

বইটির প্রশংসা করে বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘বইটিতে মুক্তিযদ্ধের যে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তা ডকুমেন্ট হয়ে থাকবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করে এবং বিকৃত করে তা আর করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসই জাতির পিতার স্বপ্নের অসম্প্রাদায়িক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ করতে সহায়তা করবে। সেনার বাংলা গড়তে এই বইটি পথ দেখাবে। কেননা অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর।’

অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমাদুল হক খান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররা বাংলাদেশে প্রথম একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। নিহত তিনি হলেন সওগাতুল আলম সগির।’

বইয়ের লেখন বলেন, ‘সওগাতুল আলম সগির স্বাধীনতার পর মঠবাড়ীয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই তাকে মঠবাড়ীয়া থানার কাছাকাছি এলাকায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে।’

সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের দাবি করে বলেন, ‘স্বাধীনাত যুদ্ধে শুধু ৩০ লাখ শহীদ হয়নি। শহিদ হয়েছে ৩০ লাখের বেশি মানুষ।’

সাবেক সিনিয়র সচিব মোফাজ্জেল হক মন্টু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে মঠবাড়ীয়া ও দক্ষিণাঞ্চল শিরোনামের বাইটি মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসের ডকুমেন্ট।’

পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি শামীম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এমাদুল হক খান মঠবাড়িয়া ও দক্ণিাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তার বইয়ে তুলে ধরেছেন। এই বই থেকে মক্তিযুদ্ধের সময়কার ইতিহাস জানা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘মঠবাড়ীয়াবাসীকে নিরাপদ রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাদক মুক্ত, সন্ত্রাসন মুক্ত মঠবাড়ীয়া গড়ে তোলা হবে।’

মঠবাড়ীয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সেনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব নির্দেশ বাস্তবায়নে মঠবাড়ীয়ার মুজিব সৈনিকরা ঐক্যবদ্ধ।’

 

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ সওগাতুল আলম সগীর স্মৃতি সংরক্ষন কমিটি কতৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:এমাদুল হক খান রচিত “মহান মুক্তিযুদ্ধে মঠবাড়ীয়া ও দক্ষিনাঞ্চল” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের নবম সাব সেক্টরের ইয়াং অফিসার মজিবুল হক মনজু খানের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন শামীম শাহনেওয়াজ এমপি। দি ডেইলী স্টেটের জয়েন্ট এডিটর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ওবায়দুর হক খানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন মঠবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুর রহমান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব মোফাজ্জল হোসেন মন্টু, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান সিদ্দীকি। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন হিউম্যানিস্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড.,মোহাম্মদ সেলিম রেজা।