শহীদ আহমদ খান।।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেটের কনফারেন্স হলে (কক্ষ নং ২১২) পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২২ নভেশ্বর) সকাল ১০টায় এ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ.ন.ম. ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান কলির সঞ্চালনায় উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স হচ্ছে জনগণের শান্তি সম্মেলন। সাধারণ জনগণকে দ্রুত আইনের সেবা প্রদানে যেসকল সমস্যার সৃষ্টি হয় তা সমাধানের জন্যই পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। মানুষকে ন্যায় বিচার প্রদানে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সঠিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূঞাঁ।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুততার সাথে মেডিকেল সার্টিফিকেট ইস্যু ও প্রেরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সিধু সিংহ।
২০২৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেসী, সিলেটের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত তালুকদার। এছাড়া সিলেট জেলার থানাসমূহ কর্তৃক আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, পরোয়ানা তামিল ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন কনফারেন্সের ফোকাল পার্সন ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নাসির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন, ডিসি (প্রসিকিউশন), এসএমপি আহমাদ মাঈনুল হাসান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ আদালত, সিলেটের ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) কাজী ইয়াসিন হাবীব, সিলেটের বিজ্ঞ পিপি এডভোকেট আশিক উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওমর ফারুক, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রুবেল মিয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমীন আক্তার, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান, পারিবারিক আদালতের ০৩ জন বিচারক- সিভিল জজ নূর-ই-জান্নাত, সিভিল জজ কাজী খাদিজা আক্তার, সিভিল জজ মোঃ মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম, ৪৮-বিজিবি, সিলেটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মুয়ীদ, সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম, কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি সালমান নূর আলম, গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র এসএসপি আব্দুল্লাহ আল-নোমান, জঅই-৯ এর প্রতিনিধি স্কোয়ড্রন লিডার মোহাম্মদ মেহেদী আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান পিপিএম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/এম) মোঃ আব্দুছ ছালাম, প্রবেশন অফিসার মোঃ তমির হোসেন চৌধুরী, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাই পিপিএম, মালখানা, সদর কোর্ট- এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী, ডেপুটি জেলার মিজানুর রহমান, বন বিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার ও বন মামলার পরিচালক দেওয়ান শাহেদুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ নজীব আলী, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম, পিবিআই, সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক মোহন লাল তালুকদার, সিআইডি, সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মাসুক আলী, অফিসার ইনচার্জ ডিবি (উত্তর), মোঃ আশরাফুল ইসলাম, প্রসিকিউশন বিভাগ, এসএমপি, সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক অমৃত লাল দেব। এছাড়াও সিলেট জেলা পুলিশের সকল থানা ও ইউনিটের অফিসার ইনচার্জগণ উক্ত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।