দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র

রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৬ বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানান। এদিন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আদালতে উপস্থিত হন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর রায়ের বাজারে গয়েশ্বরের একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈতৃক জমিতে তার আরেকটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। তবে গণপূর্ত বিভাগের তদন্তে উক্ত বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা গয়েশ্বরের গোপনকৃত ও আয় বহির্ভূত সম্পদ বলে অভিযোগ করা হয়।

এছাড়া আরও অভিযোগ করা হয়, গয়েশ্বর রায়ের বাসায় ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া গেছে, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪-০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হিসেবে গয়েশ্বর অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মের্সাস আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক এস এস মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। এরপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলার বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।