নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ২৯ মে দূপুর ১২ টায় ২৭ তোপখানা রোডে স্যাংশন কান্ড লজ্জিত বাংলাদেশ বিষয়ক জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।
ইউসুফ শাকিলের সঞ্চালননায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী ।
লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন সমন্বয়ক হানিফ বাংলাদেশী ।
৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত আর ২লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই ৫২ বছর ধরে চলমান নীতি নৈতিকতা বির্বজিত রাজনীতি আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা দল গুলোর কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার করাণে বহিবিশ্বে আজ বাংলাদেশের অত্নমর্যাদা বিনষ্ট হচ্ছে। ৫২ বছর ধরে তিন তিন বার করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা দলগুলোর কেউই এর দায়ভার এড়াতে পারেনা। যেহেতু তিন বার করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েও একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারেনি, নিবিঘ্ন ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি, দুর্নীতি মুক্ত দেশ গঠন করতে পারেনি, বিচার বিভাগকে দলীয় প্রভাব মুক্ত রাখতে পারেনি, এই ব্যর্থতার দায় কোন রাজনৈতিক দল এড়িয়ে যেতে পারেনা। আওয়ামীলিগের দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলমান কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকার এই ভিসানীতির হুমকিতে জনগণ কিছুটা খুশি হলেও এই ভিসা স্যাংশন বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জাজনক। আমাদের দেশের কৃষক উৎপাদনশীল, শ্রমিকরা পরিশ্রমী, ছাত্র যুবকেরা মেধাবী, কিন্ত দূবৃত্তায়িত রাজনীতি সকল অর্জনকে ধংস করছে বহিবিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা নষ্ট করছে। আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যেই ছিলো সাম্য মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা কিন্তু দুর্ভাগ্য ৫২ বছর পরে এসে বিদেশিদের কাছ থেকে আমাদের ভোট গণতন্ত্র আইনের শাসনের উপর ছবক শুনতে হবে এটা জনগণ কখনো আশা করেনি। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি প্রতিহিংসা পারায়ণ ও অবিশ্বাসের সংস্কৃতি বিদ্যমান। এক দল বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে নালিশ করে আরেক দল সাধু সাজতে বিদেশে পিআর নিয়োগ করে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। অবিশ্বাসের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠা গুলোকেও বির্তকিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের প্রধান আলোচক সৈয়দ শিমুল পারভেজ বলেন ২০০৮ সালের জাতীয় ইলেকশনে প্রথম বারের মতো আমি নৌকা মার্কায় ভোট দেই। কারন বিএনপি-জামাতের নানা অপশাসন দুর্নীতি অনিয়মকে পুঁজি করে আওয়ামিলীগ যেভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিল, তাতে করে নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিলাম!
তিনি আরও বলেন নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ টাকায় চাউল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি সহ একটি সাবলম্বী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছে কিংবা কি হচ্ছে এটা আপনারা সবাই দেখতে পেয়েছেন!
বিএনপির অনিয়ম-দুর্নীতি, হানাহানি, লুন্ঠন কে ছাড়িয়ে দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে আওয়ামী সরকার! যেখান থেকে বের হয়ে আসার পথও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে!
দেশের মানুষ আজ মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে হিমশিম খাচ্ছে! অনিয়ম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে আজ জনগণ কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে! কেউ সরকারের কঠোর সমালোচনা করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে তার কন্ঠ রোধ করা হচ্ছে!
প্রধান আলোচক সৈয়দ শিমুল পারভেজ আরও বলেন এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য সকল দল-বল নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি মোজাম্মেল মিয়াজি বলেন-
আমেরিকার এই ভিসা স্যাংশন হুমকিতে
জনগণ ভীত নয়। তবে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,কানাডা,ডুবাই ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ পাচার করেছে তারাই ভীত সম্ভবত হয়েছে ।
৫২ বছর ধরে যে দল গুলো দেশের জনগণের নাগরিক অধিকার হরণ করে আসছে, ভোটের অধিকার ক্ষুন্য করছে, গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাঁদের সকলকে এই দেশের জনগনের ভয়কট করা উচিত, এবং তাদেরকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার দরকার।
বাংলাদেশ কারা পরিচালনা করবেন সেটা ঠিক করবে বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগন, বিদেশি কোন প্রভু রাষ্ট্র নয়।
দেশে ভোট গণতন্ত্র আইনের শাসনের মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন জাতীয় সমন্বয়।
আরো বক্তব্য রাখেন , আলোচক, – রেশমা আক্তার,আলোচক- মহিবুল্লাহ্ চৌধুরী।