এম এ হাই,সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাঠাগারকে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে পাবনার সাঁথিয়ার কাশিনাথপুরে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী পাঠাগার সম্মেলন। সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, এই সম্মেলনের মধ্যদিয়ে পাবনা জেলার পাঠাগারগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হলো। দেশকে এগিয়ে নিতে জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়তে নতুন প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে হবে। শনিবার (১৭ জুন) সকাল ১০টায় কাশিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এ আয়োজন করা হয়।সিদীপের সহায়তায় মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মুক্তপাঠাগার ও প্রয়াস পাঠাগার আয়োজিত সম্মেলনে পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০টি পাঠাগারের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শুরুতে প্রয়াস পাঠাগারের সভাপতি অধ্যাপক মফিদুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কাশিনাথপুর কলেজিয়েট স্কুল ও কাশিনাথপুর ডিজিটাল স্কুলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় কাশিনাথপুর কলেজিয়েট স্কুল। এরপরে শুরু হয় পাঠাগার সম্মেলন। কবি আলমগীর খানের সভাপতিত্বে ও মাহবুব উল আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে ‘পাঠাগার আন্দোলন: সংকট, উত্তরণ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, কথাসাহিত্যিক আখতার জামান,পাঠাগার আন্দোলনের পথিকৃৎ আব্দুস সাত্তার খান, প্রকৃতি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী কবি সৈকত হাবিব, শিক্ষাবিদ গোলাম রসুল, কবি ও গীতিকার হুমাযুন কবির, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর মঞ্জুর এলাহী প্রমুখ।
পাঠাগার প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক,আবুল কাশেম প্রাং,ওমর সরকার,অলোক আচার্য,যাহিদ সুবহান,রেজাউল করিম,শেখ ফজলুর রহমান,ইব্রাহিম কবির প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ বিনির্মাণে ‘পাঠাগার গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। আমরা আমাদের পারস্পরিক চিন্তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারছি এই সম্মেলনে। পাঠাগারগুলো একটি ঐক্যের সূত্রে একত্রিত হতে পেরেছে এই সম্মেলনের মাধ্যমে।
এলাকার পাঠাগারযোদ্ধা উত্তরণ লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা জ্ঞানের ফেরিওয়ালাখ্যাত এমএল নজরুল ইসলামকে সম্মাননা পদকের মাধ্যমে বিকেলে পাঠাগার সম্মেলনের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ সময় সম্মাননাপত্রটি পাঠ করেন আলাউল হোসেন।