মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ইছাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে আলিম উল্যাহ (৩০) নামে এক যুবক। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে আবার মানসিক রোগীর চিকিৎসাপত্র দেখে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দিয়েছে। সন্ধা ৭টায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাপনের কথা রয়েছে।
জানাগেছে, শুক্রবার সকাল ৭টায় চুনিমিঝিরটেক গ্রামের মাওলানা আবদুস সোবহান মৌলবি বাড়ির গুয়ামিয়ার সন্তান আলিম উল্লাহ (৩০) নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে মৃত অবস্থায় দেখে জোরারগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরে পরিবার আলিম উল্লাহর মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেন।
আলিম উল্লাহর আত্নীয় ইঞ্জিনিয়ার তারেক আজিজ জানান, বেশকিছুদিন ধরে আলিম উল্লাহ মানসিক ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তার একমাত্র সন্তান অসুস্থ হলে দীর্ঘদিন তাকে নিয়ে চট্রগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেন। একটানা এইভাবে ১৫ দিন না ঘুমিয়ে কাটান। বিভিন্ন হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা চলে। এভাবে সে মানসিক হতাশায় ভারসাম্য হারিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যায়।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারে আর্থিক অভাব অনটনের কারনে আলিম উল্লাহ মানসিক হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্নহত্যা করেছে। তার বাবা তার স্ত্রী থানায় এসে জানায় তাদের কোন অভিযোগ নেই। এরপর দাফনের জন্য লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।