সাপাহারে পুনর্ভবা নদীভাঙ্গনে ৫শ’ পরিবার হুমকীর মুখে

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

 

স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁর সীমান্তবর্তী পাতাড়ী ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহমান পুনর্ভবা নদীতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় নদীর কিনারে বসবাসকারী বলদিয়াঘাট গ্রামের প্রায় ৫শ’ পরিবার এখন হুমকীর মধ্যে রয়েছে বলে ৫নং পতাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।

ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে সরেজমিনে সোমবারে পুনর্ভবা নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বলদিয়াঘাটের ব্রীজের উত্তর দিকে নদীর পশ্চীম পাড়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় এবং প্রায় ৫০০মিটার এলাকা ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে ওই ৫০০মিটার এলাকাজুড়ে বসবাসকারী ৪/৫শ’ পরিবার তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে দারুন হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় বসবাস করতে দেখা গেছে। ভাঙ্গন বাসার দ্বার প্রান্তে উপনিত হওয়া পরিবারের সদস্য আ: হাকিম জানান নদীর পানি কমতে শুরু করায় হঠাৎ করে নদীভাঙ্গন শুরু হয় প্রায় শত বছর ধরে নদী পাড়ে আমার পূর্ব পুরুষ সহ আমরা বসবাস করে আসলেও অতীতে এধরণের ভাঙ্গন আমরা দেখিনি। হঠাৎ করে এবারে নদীভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আমরাচরম বিপাকে পড়েছি। ভাঙ্গনের তীব্রতা এত বেশী যে আর এক দফা ভাঙ্গন শুরু হলেই পুনর্ভবা নদী পাড়ে বসবাসকারী বলদিয়াঘাট গ্রামের প্রায় ৪/৫শ’ বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। নদী পাড়ে বসবাসকারী মোখলেছুর রহমান, ইয়ামীন আলী ও পাতাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান যে বলদিয়া ঘাট ব্রীজের উত্তর পাশের্^ নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় সাড়ে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ মিটার এলাকা ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৫শতাধিক পরিবার এখন হুমকীর মুখে। তবে আমরা বলদিয়াঘাট ব্রীজের দক্ষিন দিকের ভাঙ্গন ঠেকাতে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করলে ওই ভাঙ্গন রোধে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ডাম্পিং ও স্লিপিং এর জন্য পানি উন্নয় বোর্ড থেকে প্রাং ৩হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ পেয়েছি। অচিরেই সে এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কার্যক্রম শুরু করা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ব্রীজের উত্তর দিকে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় সকলেই এখন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। তবে ভাঙ্গন রোধে ইতো মধ্যেই চেয়ারম্যান সাহেব বলদিয়াঘাট এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে সরকার বাহাদুরের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে আবেদন পত্র দাখিল করেছেন। বর্তমানে উক্ত ইউপি চেয়াম্যান ও গ্রামবাসী জরুরী ভিত্তিতে বলদিয়াঘাট এলাকায় পুনর্ভবা নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছে।