জাতির সংবাদ ডটকম।। জনসম্পৃক্ততার অভাবে বিএনপির আন্দোলনের টার্গেট ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে তাদের আন্দোলন তলিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন ব্যর্থ হলেই অগ্নি-সন্ত্রাসের পথে হাঁটে, অতীতে তার প্রমাণ রয়েছে। সেই আশঙ্কা এখনো আছে। কারণ জনসম্পৃক্ততার অভাবে বিএনপির সরকার পতনের টার্গেট ব্যর্থ হয়েছে। পথ হারিয়ে বিএনপির আন্দোলন এখন নীরব পদযাত্রায় নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনে জনগণ নেই।
ওবায়দুল কাদের রোববার সকালে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
আন্দোলনের নামে বিএনপি তলে তলে দুরভিসন্ধি করছে কিনা- তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন তো অনেক হলো লংমার্চ, শর্ট মার্চ। ৫৬ হাজার বর্গমাইল- খুব বেশি তো না, কোথায় আর যাবেন। দেশের বাইরেও তো গেলেন লবিং করতে, লাভ তো হলো না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে বিএনপির পরাজয় ঘটেছে। জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার অপমানে তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়- যাতে একটি অনির্বাচিত সরকার, আরেকটি ওয়ান ইলেভেন হয়। শেখ হাসিনা বাদে যে কেউ আসুক বিএনপির তাতে আপত্তি নাই। বিএনপি’র যে গোপন অভিসন্ধি, উদ্দেশ্য ও কর্মকান্ডের ধরন- তা থেকে এটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবো, সরে যাব না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রধান দলগুলো অংশ গ্রহণ করলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠেগোল দিতে চায় না। আমরা আশাবাদী বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসবে। আমরা খবর পাচ্ছি যে- তারা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তারা আবারও ষড়যন্ত্র করছে কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।
জাপানে বিএনপি’র পাঠানো চিঠিতে বড় দল দাবি করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে বড় কে ছোট দল তা নির্বাচন ছাড়া প্রমাণ করার উপায় নেই। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা প্রমাণ করুক।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সময়মতো প্রার্থীতা ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ।
উপ-নির্বাচনে ভোটারদের কম উপস্থিতির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই উপ-নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। কেননা এটা দিয়ে খুব বেশি লাভ-ক্ষতি কেউ খুঁজে পায় না।