সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমি দুই আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করব

বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

 

সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমি দুই আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। এখন পর্যন্ত সব পরিবেশ ভালো আছে। তবে সদরের (বগুড়া সদর) এক কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটারদের কাছে অনুরোধ সবাই এসে ভোট দেবেন।

 

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে এসব কথা বলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) দুই আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বগুড়ায় উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই দুই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম।

বগুড়া-৪ আসনের ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ১৪-দলীয় জোট থেকে জাসদ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। যাদের মধ্যে কুড়াল প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক বিএনপি কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল। আর স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশফিকুর রহমান কাজল।

বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী ১১ জন। পাঁচজন আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। এ ছাড়া উপনির্বাচনে এ দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম।

এদিকে বুধবার সকালে তিনজন প্রার্থী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন।

বগুড়া-৬ আসনে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমান অভিযোগ করেন, শহরের মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্যদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। এ কেন্দ্রে আপেল প্রতীকের এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বগুড়া-৬ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, নির্বাচনি এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্রে ডাকাত পড়েছে। অনেক কেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনি এজেন্টদের ভোটকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেউ কোনো ভোটকক্ষ থেকে কাউকে বের করে দেননি।

অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রে কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তারা পাননি।