গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল মানবতাবাদীদের সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি

রবিবার, মার্চ ২৪, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যা গোটা বিশ্ববিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ইসরায়েলী বাহিনী গাজার হাসপাতাল, রিফিউজি ক্যাম্প, ত্রান বিতরণস্থলসহ সর্বত্র বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে। যার ফলে সেখানে এক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল মানবতাবাদীদের সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি।

 

ফিলিস্তিনে ইসরাঈলী বাহিনীর চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে আজ এবি পার্টি আয়োজিত গণনিন্দা ও প্রতিবাদী গণ ইফতারে এ আহ্বান জানান বক্তারা। বিকেল ৫ টায় পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় বিজয় নগরের বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর বর্ষীয়ান আলেম মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। বক্তব্য রাখেন মাসিক মঈনুল ইসলামের সম্পাদক ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মুনির আহমদ, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

 

মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, প্রতিদিন ইসরায়েলী বাহিনীর হাতে গাজার লোকেরা শহীদ হচ্ছে। এই রমজানে তারা ঘাস খেয়ে জীবন যাপন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের ত্রাণ শিবির গুলোতে পর্যন্ত দখলদার বাহিনী হামলা চালাচ্ছে অথচ গোটা পৃথিবীর বিবেক হিসেবে যারা দাবি করে তারা এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা যেকোনো কিছু হলেই মানবাধিকারের কথা বলে, মানবতার কথা বলে কিন্তু ফিলিস্তিনের গণহত্যা নিয়ে তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বর্তমান এই আওয়ামীলীগ সরকারও একই কায়দায় দেশের ইসলামি তাহজিব তমাদ্দুনকে ধ্বংস করে ইফতার মাহফিলে হামলা করছে।

গণ ইফতার কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি এই আয়োজনের জন্য এবি পার্টিকে ধন্যবাদ জানান।

 

ড. আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, আমরা আজকে ইফতার করছি, সেহরি করছি, রোজা রাখছি কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে আমাদের হৃদপিণ্ড ফিলিস্তিনের মানুষ আজ সেহরি ও ইফতার করার কোন ব্যবস্থা ছাড়াই রোজা রাখছে। দিনকে দিন ফিলিস্তিন ভু-খন্ড থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশেও আজ একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ভারতের সহায়তায় ক্ষমতা দখলের পর এই সরকার এখন মোদির প্রেসক্রিপশনে চলছে। আজ তারা ইফতারে বাধা দেয়, ইসলামের কথা বললেই তাদের পাকিস্তানপন্থী, সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করে। কাজেই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামতে হবে।

 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্রভূমি গাজায় চলছে মানবিক বিপর্যয় আর এশিয়ার পূণ্যভূমি বাংলাদেশে চলছে সভ্যতার বিপর্যয়। দুই জায়গায় দুই অসভ্য জুলুমবাজের খপ্পরে মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। ইসরাঈলী বাহিনী আর আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা কর্মীদের নীতি ও চরিত্রে অদ্ভুত মিল। ইসরাঈলী মানবতাবিরোধীরা যেমন হত্যা, ধর্ষণ, বোমা বর্ষনে বেপরোয়া তেমনি বাংলাদেশের জালেম বাহিনী আওয়ামী-ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা কর্মীর হাতে মানুষের জান মাল ইজ্জত আজ ছিন্ন ভিন্ন। এই দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই মানবতাবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি ফিলিস্তিনে নির্বিচার গণহত্যা বন্ধে কার্যকর যুদ্ধবিরতির আহবান জানান।

 

গণনিন্দা ও প্রতিবাদী গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিনের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, শাহীনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ি থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।