এবি পার্টিতে নবাগতদের সংবর্ধনা:  আওয়ামী সরকার দেশকে দেউলিয়া করতে বেপরোয়া 

বৃহস্পতিবার, জুন ১৩, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

দেশকে দেউলিয়া করতে আওয়ামী সরকার বেপরোয়া লুটপাটনীতি চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। এবি পার্টিতে যোগ দেয়া কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লে.কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব এম.এম সুলতান মাহমুদ সম্প্রতি এবি পার্টিতে যোগদান করেন। আজ তাদের যোগদানোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করে দলটি। দলের আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর অবঃ আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, জননেতা বিএম নাজমুল হক ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগদানকৃতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

যোগদানকৃতদের স্বাগত জানিয়ে পার্টির আহবায়ক সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও দু:শাসনের কারণে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান আজ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের বিরাট একটা অংশ এই অনৈতিক কর্মযজ্ঞে জড়িয়ে পড়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক তারা বঞ্চিত, অবহেলিত ও অপমানিত হয়ে নিরুৎসাহ বোধ করছেন। দেশের ভবিষ্যৎ ক্রমশ: গভীর অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন; দেশকে দেউলিয়া করতে আওয়ামী সরকার বেপরোয়া লুটপাটনীতি চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখার জন্য আরও নির্লজ্জ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সাবেক সেনা ও প্রশাসন কর্মকর্তাদের এবি পার্টিতে যোগদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন সততা ও অভিজ্ঞতার গতিশীলতা দিয়ে রাজনীতি পুণর্গঠন করতে পারলে দেশকে নতুন করে মেরামত করা সম্ভব। নবাগতরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

মেজর (অব.) মিনার বলেন; ডামি প্রহসনমূলক সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করে এই সরকারকে চুড়ান্ত বার্তা জানিয়ে দিয়েছে। কোন বিবেকবান নাগরিক এই সরকারকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানাতে পারেনা। তিনি বলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা হচ্ছেন দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষিত শারীরিক ও মানসিকভাবে সর্বাধিক সক্ষম নেতা যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে দেশ আজ এই ক্রান্তিলগ্নে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তিনি নবাগত নেতৃবৃন্দকে দলে স্বাগত জানান।

 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, নতুন দল তৈরি করতে গিয়ে নানা মানুষের নানা কথা আমরা শুনেছি। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার হাতছানি থাকার পরও যারা এবি পার্টির এই কঠিন সংগ্রামে অংশ নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমাদের জন্য বিরাট আশার ব্যাপার। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আশাকরি নবাগত ভাইয়েরা আমাদের সংগ্রামকে বিজয়ের লক্ষ্য পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

 

দলে নবাগত সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে.কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও সরকারের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব এম.এম সুলতান মাহমুদ সংবর্ধনার জবাবে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের মহান অঙ্গীকার সমুন্নত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগ্রামের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক সাহসী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তারা দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।