
মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীঃ
কেন স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা রুপকার স্হপতি মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পিজি হাসপাতলের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমানকে দেশের দায়িত্ব গ্রহন করতে অনুরোধ করেন।১৯৪৭ সালে যখন জগৎ শেঠ,রাজা রায় দূর্লোভ গংদের স্বপ্ন বাস্তবানে বায়নে পূর্ব বাংলার নোয়াখালী, বিহার,কাশ্মীর, উড়িশ্যা,আসাম মুসলিম হত্যায় করম চাঁদ গান্ধী গং ইন্দোন জুগায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠায় অন্তরায় সৃষ্টি করে। নেতাজী সুভাষ বসু নিখোঁজ করায়? তারপরও নানা চক্রান্ত অভ্যাহত রাখে। এ সব উপলদ্ধি করতে পেরে মজলুম এই জননেতা মওলানা ভাসানী, শের-এ-বাংলা এ,কে,ফজলুল হক,নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ছাত্র নেতা মরহুম শাহ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আমার মরহুম পিতা মঈনল হক চৌধুরী আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনোর পাশাপাশি দেশপ্রমিক নেতাদের সাথে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ওখানে যেতেন লক্ষ পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন করা বা করম চাঁদ গান্ধী গং দের নোংরা চক্রান্ত থেকে রক্ষা করা? ১৭৫৭ সালের পলাশীর ট্রাজেডি পর নবাব সিরাজু-উদ-দৌলার বৈষম্যহীন কর্মকান্ড ইতিহাসের পাতা থেকে সরিয়ে তার চরিত্র হননে অপপ্রচার। সব কিছু বুঝিই জাতির এই সকল কৃতি সন্তানদের তথ্য সম্মিলিত অভিমতে এক মত হয়ে ১৪০০মাইল দুরের সাথে একাত্ব করেন।জাতির দূর্ভাগ্য আজকের ইন্ডিয়ার আগ্রাসন থেকে মুক্ত করে পৃথক স্বাধীন দেশের মর্যাদা দেওয়ার আগেই কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ইহলোক ত্যাগ করেন। চরম শান্তি বিদ্ধেষী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তার এলাকায় মাদ্রাসা করে কোরআন ও ইসলামী শিক্ষা দিয়ে এই বাংলাদেশে গোয়েন্দা ও জঙ্গী গীরি করা আর জনপ্রিয় সুসংগঠিত ইসলামী দল গুলোর প্রতি মিথ্যাচার অপপ্রচার করাতে থাকে? ২০২৪ এর আগষ্ট অর্জনের নতুন ইসলামী সংগঠন দেখে এমনটাই মনে হয়? যাই হোক ১৯৭০ এ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আহবান দেশবাসী ভোট বর্জন করে। আবার ২০২৪ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্যতম সন্তান তারেক রহমান এর আহবানে আবারো নির্বাচন বর্জন করে। প্রকাশে ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আনন্দোলন করলেও অপপ্রক্যাশে তারেক রহমান আর জামায়াতে সুক্ষ্ম কৌশলে প্রতিবেশী সাম্প্রদায়িক অপকৌশল পদদলিত হয়।একই ভাবে ১৯৪৭ এর আগষ্ট আর ১৯৭৫ এর আগষ্ট এবারো আগষ্ট এই জাতিকে মুক্তিদেয়? তার আগে ১৯৭১ সালে সরোয়ার্দী উদ্দ্যেনে ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা নিয়ে গালগল্পের স্হান হয় হোটেল ইন্ট্রারকন্ট্রালে।৯মার্চ মওলানা ভাসানী বলেন আর কোন আলোচনা নয় স্বাধীনতা।কিন্তু ২৫ মার্চ৭১ পর্যন্ত গল্প চালু রেখে নিজপরিবারের সদস্যদের পাক সেনাদের জিম্মায় রেখে নিজেও পাকিস্তানে চলে গেলেন। রাতে হায়নার আক্রমন দেখে মেজর জিয়া অস্হায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বাধীনতা ঘোষনা করলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার শিশুসন্তান নিয়ে আটক হলেন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলাকালে কখনো ইন্ডিয়ার ভীতরে প্রবেশ জীবন রক্ষায় আবার দেশে করতেন। পাক সেনারা যখন আত্মসমার্পন করার প্রস্তুতি নিলো।তখন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম,এ,জে ওসমানী আর ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহনকারী হেলিকপ্টার গুলি করে নামায়? তারপর আত্মসমার্পনের অনুষ্ঠানে উপস্হিত মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক এ,কে, খন্দকার উপস্হিত থাকা সত্বেও তার পরিবর্তে একজন ইন্ডিয়ান সেনা সদস্যে অরোরা আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করে দলিলটা নিয়ে যায়। ১০ জানুয়ারী৭২ তাদের অনুগত পাকিস্তান থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফেরে তারপর দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর যন্ত্রপাতি আর ব্যাংক লুট শুরো আরেক মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম,এ,জলিলকে আটক করে খেতাব থেকে বন্চিত করে।এরপর মরণবাধ ফারাক্কা চালু করে। ১৯৭২ এর জানুয়ারী ২২ তারিখে গৃহবন্দী থেকে মুক্ত হয়ে বরুইমারী দিয়ে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী দেশে প্রবেশ করেন। হককথা ইরফানুল বারীকে সম্পদক করে প্রকাশনা শুরু করেন। যখন ৭২ এ স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান ইন্ডিয়া থেকে আসে এই নিউজ করার কারণে হক কথার ডিক্লারেশন বাতিল করে।তার আগে”১৯৫৪ সালে মওলানা ভাসানীর ইত্তেফাক ‘এর মালিকানা রাতারাতি পরিবর্তন করা হয়! এরপর অন্যায়ের প্রতিবাদ করার দায়ে সিরাজ শিকদারকে হত্যা সহ অভিযোগ আছে প্রায় ৩০ হাজার প্রতিবাদীকে হত্যা করে। এই জুলুম নিপিড়ন আর সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে কর্নেল ফারুক- মেজর ডালিম-মেজর হুদারা আটক করে আনতে গিয়ে অজ্ঞাত গুলিতে জাতি মুক্তি পায়! মেজর জেনারেল জিয়া উর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হওয়া সত্বেও স্বাধীন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান হতে পারলেন। তারপর ১৯৭৬ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যখন পিজি হাসপাতলের কেবিনে তখন একদিন উপসামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে হাসপাতলের দেখতে আসেন।সালাম দিলে হুজুর উত্তর দিয়ে আর হাত মিলান না? তিনবার হুজুর বলেন আপনি দেশের দায়িত্ব নিলে হাত মিলাবো! অবশেষে জিয়া উর রহমান রাজনৈতিক কর্মীদানে সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে জিয়া উর রহমান রাজী হলেন। হুজুর বললেন প্রতিবেশী আর আ”লীগ যাদের শক্র মনে করে অপপ্রচার করে তারাই দেশপ্রমিক আর এই দেশপ্রমিকদের বন্ধু। জিয়া উর রহমান সাহেব চলে গেলে মগবাজার অগ্নীকন্যা আমেনা বেগম এর বাড়ী থেকে ন্যাপ ভাসানীর সেক্রেটারি মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে ডেকে এনে হুজুর বললেন আমি হাসপাতাল থেকে বেড় হয়ে ন্যাপ থেকে পদত্যাগ করে সভাপতির দায়িত্ব দেবো। সভাপতি হয়ে দেশপ্রমিকদের নিয়ে একটা জোট করে জিয়ার হাত শক্তিশালী করতে হবে।একটা সময় ন্যাপ বিলুপ্ত করে নতুন দল গঠন করতে। যেদিন একসময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মরহুম আনোয়ার জাহিদ দেশনেত্রী বেগম খালেদাজিয়া উপদেষ্টা ছিলেন। যখন আনোয়ার জাহিদ,গিয়াসকামাল চৌধুরীকে যখন দেশনেত্রী কাছ থেকে দুরে সরাতে সক্ষম হলো তখন থেকে অত্যান্ত সুকৌশলে বিএনপি আর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশপ্রমিকদের অবস্হান শক্তি হলো।জনাব তারেক রহমান এর মাজা ভাঙলো,বেগম খালেদা জিয়াকে জুডিশিয়াল আচরণে কারাগারে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করলো। ৩০ মে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে যখন শহীদ হলেন সারা বাংলার জনগন যেমন রাস্তায় নেমে আসলো। তেমনি বেগম জিয়ার সাজার কল্পকাহিনী শুনে মানুষ রাস্তায় কিন্তু তারা সেদিন নির্দেশনা পায় নাই। আজকে যেন দেশপ্রমিক আর বন্ধুবিদ্ধেষীদের দাপট বেশী। ঐক্য একমাত্র সার্বভোমত্ব অক্ষন্ন রাখতে পারে। যখন জেনারেল জিয়াকে যখন দেশের দায়িত্ব নিতে বললেন তখন একটা মূল্যবান কথা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বলেছিলেন”মুসলিম জাতির জনক হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহকে যারা আগুনে ফেলেছিলো “এই জাতি যতদিন তাদের শক্র হিসাবে চিহৃিত রাখতে পারবে ততদিন জাতি স্বাধীন সার্বভোমত্বের অধিকারী থাকবে।