জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাঙালির গর্বের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা দাবী, ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা- সবই বাঙালির গর্বের বিষয়। এসব গর্বের কাছে বাঙালিদের বারবার ফিরে আসতে হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও প্রাসঙ্গিকভাবেই স্মরণ করতে হবে।
স্পিকার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ইজাজ আহমেদ মিলন রচিত ‘বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ: অপরাজেয় মেজর আফসার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি ‘বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ: অপরাজেয় মেজর আফসার’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য এবং কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালী বীরের জাতি। এ জাতি ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্পৃক্ত করতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ: অপরাজেয় মেজর আফসার’ বইটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। মেজর আফসার সাড়ে চার হাজারেরও অধিক মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ করে ‘আফসার বাহিনী’ গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় কখনো আপোষ করেননি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি গর্বিত পিতার সন্তান হিসেবে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি ও তার পরিবারবর্গকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আগত ‘আফসার বাহিনী’র বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।