আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ–
জামালপুর সদর-৫ আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী জামালপুর সদরবাসীকে সালাম জানিয়ে বলেন, জামালপুর সদর-৫ আসনটি সত্তরের পর থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বার বার নির্বাচিত হয়েছে। শুধু একবার বিএনপির নীল নকশার নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এটি মূলত আওয়ামী লীগের আসন। এই অঞ্চলের জনগণ বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। এ জন্য তারা বার বার নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে আমিও একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। ‘এ আসন কতটুকু উন্নয়নের ছোঁয়া পেল এবং আপনার দৃষ্টিকোন থেকে কোন উন্নয়ন আরও করা যেত, ডিবিসির সিনিয়র রিপোর্টার ঝুমি রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলার হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডিবিসি ইলেকশন এক্সপ্রেস আয়োজিত লাইভ সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়।
এমপি প্রার্থী ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি ১৯বছর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি এবং পাঁচ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া এক বছর জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছি। ইতিমধ্যেই আমি নির্বাচনের কথা বলাই জামালপুর সদরে আওয়ামী লীগ ও সমস্ত সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৮০ভাগ নেতাকর্মী আমার সাথে রয়েছে। জামালপুর সদর আসনে নৌকায় যারা ভোট দেয়, নৌকার ভোটারবৃন্দ আমি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তারা আনন্দিত, উল্লাসিত। ভোটাররা চাই যে, এ আসনে যদি আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আগের চেয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতীতের চেয়েও অধিক সংখ্যক ভোটে নৌকার বিজয় হয় এ জন্য আমার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে তাদেরও অনুসারী রয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের মধ্যে কোন কোন্দল হতে পারে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে এমপি প্রার্থী ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘জামালপুর সদরের আসনটিতে প্রতি বছরই একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী হোন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যখন যাকে নৌকা প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা দেন তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতীত দিনগুলোতেও কাজ করেছে সামনের দ্বাদশ নির্বাচনেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।