আবুল কাশেম জামালপুরঃ-
জামালপুরের ইসলামপুর ৪নং চর হাইস্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। ছেলে পরীক্ষার্থী হলেও বাবা রয়েছেন কেন্দ্রে অলিখিত কেন্দ্র সচিব হিসাবে প্রশাসনিক দায়য়িত্বে।
জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর ৪নং চর হাইস্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিমের এক ছেলে। ফলে এবার তাকে কেন্দ্র সচিবের দায়য়িত্বও দেওয়া হয়নি। কিন্তু তিনি কেন্দ্র সচিব না হয়েও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তিনি বহাল তবিয়তে কেন্দ্রে অলিখিত কেন্দ্র সচিব হিসাবে প্রশাসনিক দায়য়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রটিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রটিতে একজন প্রশাসনিক নির্ধারিত কেন্দ্র সচিব থাকলেও কেন্দ্র সচিবের ডেমো হিসাবে অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও কেন্দ্রে বহিরাগতদের নিয়ে সারাক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থানসহ হলে ছুটা ছুটি করেন।
কেন্দ্রে ছেলে পরীক্ষার্থী থাকলে কোন শিক্ষক বাবার ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকার কোন নিয়ম না থাকলেও অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করে গত ১৫ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু দিন হতে প্রতিটি পরীক্ষার দিনই কেন্দ্রের ভিতর অবস্থান করে প্রশাসনিক দায়িত্বে বহাল তবিয়তে পালন করছে। কোন আইনে তিনি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের ভিতর অবস্থান করেন সচেতন মহলের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে,কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম কেন্দ্রে অবস্হান করে কেন্দ্র হওয়ার পর থেকেই পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র খরচের নামে প্রতি পরীক্ষায় দুইশত টাকা ও অংক পরীক্ষার জন্য ৩শত টাকা করে নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন বাহিরে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে উত্তর নিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে সর্বরাহ করে থাকেন। পরীক্ষার্থীরা গোপনে মোবাইল ব্যবহার করেই উত্তরপত্র লিখেন। গত ২২ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালে ৪নং চর হাইস্কুল এসএসসি পরীক্ষায় মোবাইলে অসদোপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ৪নং চর হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি কেন্দ্র সচিব না, কেন্দ্র সচিব তার প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষক, আমি প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছি।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োজিত উপজেলা প্রশাসন থেকে দায়িত্বে থাকা উপজেলা আইসিটি সহকারী প্রোগ্রামার একেএম মোস্তফা মনোয়ার ও উপজেলা সমবায় অফিসার মিলন কান্তি সাহা কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সিরাজুল ইসলাম জানান, ছেলে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী হলে তার পরীক্ষা হলে অবস্থান করার কোন নিয়ম নেই। তার প্রশাসনিক কোন কাজ থাকলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সে বাহিরে গিয়ে করবে। বিষয়টি তিনি ক্ষতিয়ে দেখে পরবর্তী পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলেও জানান।