কেরানীগঞ্জে স্ত্রী কন্যা সন্তানের উপর স্বামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে  হামলার  অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

আসমা আক্তার শিলা :

ঢাকার কেরানীগঞ্জ দক্ষিন বাঘাপুর, ৩য়স্ত্রী ও কন্যা সন্তানের উপর স্বামী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২১শে মার্চ ২০২৪ ইং বিকাল ৫ টার দিকে  হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 

মাহাবুবা আক্তার এ প্রতিবেদনকে জানান বিবাহের কয়েক মাস পর থেকে তার স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। মাহাবুবা (২১) এর গর্ভে ১নং বিবাদী আশরাফুল আলম জাহিদ (৩৫)এর ঔরসে তিন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।  গত এক বছর যাবত স্ত্রী সন্তানদের কোন ভরোন পোষন দেননি। তার শাশুড়ি গত ৬ মাস আগে  তার মামার  বাড়িতে মাহাবুবা ৩ কন্যা সন্তানকে রেখে যান। হঠাৎ গত ২১শে মার্চ  বিকাল ৫ টার দিকে ১০টি মাইক্রোবাসে ৪০ থেকে ৫০ জন  সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার শাশুরির বাড়ীতে ডুকে তার ছোট মেয়ে ও মেজো মেয়েকে ধরে তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীর কাছে তুলে দিলে তারা মাইক্রোবাসে নিয়ে রাখেন। বড় মেয়ে ভয়ে পালিয়ে যান। চিৎকার শুনে তাদের মা এগিয়ে আসলে তাকে চুল ধরে  এলোপাথারি কিল ঘুসি লাথি মারে, নীলা ফুলা জখম করে । তার মামী সুলতানা (৩৫) মামী ইসমোতা(৩০)মামী  সুচনা (২৮) গন বাধা দিলে তাদেরকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি লাথি মারে। সেই সময় বাড়ীতে কোন পুরুষ ছিলো না।  এতের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে গেলে জাহিদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে থানায় ডুকতে দেননি। তাদেরকে  হুমকি দিয়ে পাঠিয়ে দেন। তাদের ভয়ে থানায় জেতে পারেনি। গত ২৫ শে মার্চ ২০২৪ইং সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী  করেন, জিডির নাম্বার ১৪৯১ । এলাকাবাসী জানান ঘটনার সততা সিসিটিভির ফুটেজ  যাচাই করলে যানতে পারবে। তার স্ত্রী জানান  আশফুল আলম  স্ত্রীদের সাথে ৬ থেকে ৮ মাসের বেশি সংসার করেন না বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও অত্যাচার করার কারণে তার কাছ থেকে স্ত্রীরিরা চলে যেতে বাধ্য হন।

মাহবুবা জানান  বিবাহের আগে  দুইটি পড়ে চারটি আমাকে সহ মোট ৭টি বিবাহ করেন।স্বামী আশরাফুল আলম নেশাগ্রস্ত ও বিভিন্ন নারীর সাথে আপত্তিকর সম্পর্ক রয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার কালিগঞ্জ নয়াবাড়ি মৃত আব্দুল ওহাব মেলকারের ছেলে আশরাফুল আলম জাহিদ একাধিক  বিবাহে আসক্ত। তার কয়েক স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ  করলে তারা জানান জাহিদ বিভিন্ন প্রলোভন  দেখিয়ে বিবাহ করেন। কয়েক মাস পর থেকে নির্যাতন অত্যাচার শুরু করেন।  আরেক স্ত্রী জাহিদের  নামে মামলা করেন। তিনি অনেক সম্পত্তি ও টাকার মালিক এ কারণে পার পেয়ে যান।জাহিদের সাথে একাধিক যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।