আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃআন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ শতাংশ বেড়েছে। তার মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে তেলে দাম বড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)- উভয়েরই দাম বেড়েছে। শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ১ অংশ। এছাড়া ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৫ ডলারে এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৩৮ ডলারে।
জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজারে অপরিশোধিত তেলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ইরান থেকে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও ইরানের খনিগুলোতে ইসরায়েলের হামলার হুমকি তেলের বাজারে এই আকস্মিক উল্লম্ফণের জন্য দায়ী।
যুক্তরাজ্যের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা স্টোনএক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের খনি ও তেল অবকাঠামোগুলোতে হামলা করে, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩ থেকে ৫ ডলার বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ক্ষেত্রেগুলোতে হামলা করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি তেলের চালান আসা বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কিছুদিন এই ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও, ওপেকের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে এই সংকট পূরণ করা সম্ভব হবে না ।
ইরান ওপেক প্লাসের সদস্যরাষ্ট্র। প্রতিদিন আন্তর্জাতিক বাজারে ৩২ লাখ ব্যারেল পাঠায় দেশটি যা শতকরা হিসেবে বাজারের মোট তেলের ৩ শতাংশ। শতকরা হিসেবে হার একেবারেই কম, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইরানি তেলের যোগান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাজারে মন্দাভাব চলছে।
সূত্র: রয়টার্স