তাবলীগে সংঘাত ও হতাহতের ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্বেগ ও দোষীদের বিচার দাবী

বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

তাবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজমান সমস্যায় গতরাত থেকে সংঘর্ষের কারণে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

 

তিনি হতাহতের ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাদের ইন্ধনে ঘটেছে এবং যারা সরাসরি হামলা চালিয়েছে তাঁদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 

আজ ১৮ ডিসেম্বর, বুধবার, দুপুরে পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় এ উদ্বেগের কথা জানান।

 

শায়েখে চরমোনাই বলেন, তাবলিগ জামায়াত বিশ্বের শান্তিপূর্ণ ও প্রেমময় ধারার একটি দাওয়াতি কাফেলা। মুসলমানকে সন্মান করা, মানুষের কল্যাণ কামনা করে বিনীত ও মাধুর্যময় ভাষায় দাওয়াত উপস্থাপন করার মাধ্যমে তাবলিগ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কার্যক্রম হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে।

 

তিনি বলেন, মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামায়াতে দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। যা দুঃখজনক হলেও একে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পরা উদ্বেগজনক এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে ২০২৫ এর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটছে তা কল্পনাতীত। ইসলামের দাওয়াতি মেজাজ, তাবলিগের ইতিহাস, চরিত্র বিবেচনায় এমন হানাহানি ও মৃত্যুর কথা চিন্তাও করা যায় না। অবাক বিস্ময়ে তাই আমাদের দেখতে হচ্ছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা এবং তার করুণ প্রতিফল বিবেচনায় উম্মাহর যে কোন সদস্যের ন্যায় আমরাও ব্যথিত ও কম্পিত।

 

তাই উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করছি যে, নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করুন। দেশের সর্বজন স্বীকৃত উলামায়ে কেরাম এবং প্রয়োজনবোধে দেওবন্দ, করাচী ও আরবের সর্বজন স্বীকৃত উলামায়ে কেরামের মসন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। কিন্তু কোন অবস্থাতেই এই ধরণের হানাহানি পরিহার করুন।

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গতকালের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

 

শায়খে চরমোনাই বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে সমবেদনা জানাতে আজ ১৮ ডিসেম্বর, বিকেলে কাকরাইল এ মারকাজ মসজিদে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করেন।

 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট আতিয়ার রহমান, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান জাফরী, প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার ও শ্রমিক আন্দোলন নেতা মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা প্রমুখ।