মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এই সময়ে করণীয় ডেঙ্গু সংক্রমণ কম বা বেশি হওয়া নির্ভর করে ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকার জনসাধারণের জ্ঞান মনোভাব এবং এডিস মশার প্রজনন রোধে তাদের কার্যক্রম ও ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঠিক ও সময়োপযোগী কার্যক্রমের ওপর।
আগামী দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হবে বলে জানান মীর নেওয়াজ আলী তিনি আরো বলেন
কোনো এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। এই মুহূর্তে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলেন তিনি
ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে প্রতিটি বাড়ির চারদিকে ফগিং করে উড়ন্ত মশা মারা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশাটি অন্য কাউকে আক্রান্ত করতে না পারে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া হাসপাতালগুলোর চারদিকে নিয়মিত ফগিং করতে হবে যাতে সেখানে কোনো এডিস মশা বেঁচে না থাকে। হাসপাতাল ও বাড়িতে থাকা যেকোনো ডেঙ্গু রোগীকে সব সময় মশারির নিচে রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রমও চালাতে হবে বলে জানান
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসঘটিত জ্বর রোগ। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি স্ট্রেইন (ডেন-১, ২, ৩ ও ৪) এর যেকোনোটি দিয়ে ডেঙ্গু হতে পারে। আর এই ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস এলবোপিকটাস প্রজাতির মশা। এডিস ইজিপ্টি স্বভাবগতভাবে গৃহপালিত ও নগরকেন্দ্রিক। এটি আমাদের শহরে ঘরের ভেতরে এবং এর কাছাকাছি থাকে। এ জন্য এটিকে আমরা গৃহপালিত মশা বলে থাকি। এডিস ইজিপ্টি মশা ডেঙ্গু বিস্তারে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভূমিকা রাখে। আরেকটি প্রজাতি এডিস এলবোপিকটাস যাকে এশিয়ান টাইগার মশা বলা হয়। এটি বন্য বা জংলি বা গ্রামের মশা। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেই এ মশাটি রয়েছে। এই প্রজাতি ডেঙ্গু বিস্তারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভূমিকা রাখে। এই মশা বিভিন্ন পাত্র ছাড়াও গাছগাছালিযুক্ত এলাকায় গাছের কোটর কলাগাছের দুই পাতার মাঝখানে কচুর পাতার মাঝখানে কাটা বাঁশের গোড়ায় জমে থাকা পানিতে জন্মায় বলে জানান
নগরে এডিস ইজিপ্টি মশা জন্মানোর জন্য অন্যতম স্থান হলো ড্রাম টায়ার বালতি যেকোনো ধরনের মাটির পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্ত, ইট বা টাইলস ভেজানোর চৌবাচ্চা, কিউরিংয়ের পানি জমার স্থান, বিশেষ করে বেজমেন্ট। মীর নেওয়াজ আলী আরো বলেন
ডেঙ্গু এমন একটি সমস্যা যেটিকে সরকার বা সিটি করপোরেশন একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বলে জানান তিনি এসময় উপস্থিত ছিলেন ২৩ নং ওয়ার্ড সাবেক সভাপতি মুজিবর রহমান মজু সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু সাইদ টুলু শরিফুল ইসলাম জজ ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোরশেদুর রহমান জনি ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইজুদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।