আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ-
জামালপুরের মেলান্দহ থানায় তদন্ত ছাড়াই স্বামী আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ২০ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মামলাটি কোন প্রকার তদন্ত না করে মেলান্দহ থানার পুলিশ মামলাটি দায়ের করেছেন। এদিকে আমরা সত্যিকারের হামলার শিকার হয়ে একটি মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তারের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলামের স্ত্রী আসমা আক্তার এমন অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আসমা আক্তার বলেন, জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন শিহাটা মৌজার বি আর এস ৪১৬ নং খতিয়ানে ও ৫২২ নং দাগে ১১.৫০ শতক জমিসহ অন্যান্য মৌজার ভূমি ইসমাইল হোসেন ও আমার স্বামী রবিউল ইসলাম গংরা ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমিতে বসতঘর নির্মান করতে গেলে ওই এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান একই জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মান করে। এর আগেও এই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হলেও প্রত্যেকবার আসাদুজ্জামান বৈঠক অমান্য করে। গত ১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আসাদুজ্জামান গত ১৭ জানুয়ারি সকালে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের মারধোর করাসহ ঘরবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে সন্ত্রাসীর দল আমাদের ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আমাদের উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স যুগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো বলেন হামলার অভিযুক্ত আসাদগংরা উল্টো মেলান্দহ থানায় আমার স্বামী এবং আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে আমাদের পুলিশি হয়রানি করছে। অথচ আমরা সত্যিকারে ভুক্তভোগী হয়ে মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আইনি সহায়তা পাইনি এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি মেলান্দহ থানা পুলিশ।
লিখিত অভিযোগের আরও বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর নয়ানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি সোহরাবের হোসনের মদদে আসাদগংরা বারবার আমাদের উপর হামলা করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিচার কামনা করেন সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন আসমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান জানান জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৃথক ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দুই পক্ষের মামলাই দায়ের হয়েছে।