হাতিয়াতে গুইসাপ ভাসছিল পুকুরে, কুমির গুজবে তোলপাড়

বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫

 

আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি –

নোয়াখালীর হাতিয়াতে বসত বাড়ির পুকুরে কুমির দেখার গুজব ছড়িয়েছে দেশব্যাপী। গত চার দিন এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হৈ চৈ, তোলপাড় চলছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের আমজাদ মজিদ মিয়ার বাড়ির ওই পুকুরে অভিযান চালায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা। অভিযানে বাড়ির পুকুরে ঘুরে বেড়ানো কুমিরের সন্ধান পাওয়া যায়নি এর আগে,গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিরটি দেখতে পান বলে দাবি করেন একই বাড়ির গৃহবধূ নাহিদা আক্তার পান্না।

 

স্থানীয় বাসিন্দা সাহেদ উদ্দিন বলেন, পুকুরে জাল দিয়ে কুমিরের সন্ধানে তল্লাশি চালান বন বিভাগের লোকজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুমিরের সন্ধান না পেয়ে অভিযান শেষ করে তারা চলে যান।

 

পুকুরের মালিকের মো.মাসুদুল ইসলাম শরীফ বলেন, গত চার দিন আগে রোববার বিকেলের দিকে আমাদের গ্রামের ফেরি ওয়ালাদের বাড়ির বেলালের লাড়কির ঘরে প্রথমে কুমুরটি দেখতে পায় বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। ওই সময় তারা প্রাণীটি হত্যা করতে চেষ্টা করে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্ত্রী নাহিদা আক্তার পান্না আমাদের ঘরের পেছনের পুকুরে কুমির সাদৃশ্য বস্তু ভাসসে দেখে। তাৎক্ষণিক এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। তাৎক্ষণিক উৎসকু জনতাও সেটিকে কুমির বলে মন্তব্য করে ফেসবুকে ভিডিও চিত্র ও ছবি পোস্ট করে। কিন্ত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুকুরের চারদিকে হেঁটে পুকুরে কিছুই দেখা যায়নি।

 

হাতিয়া বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাণীটির একটি স্থিরচিত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে সেটিকে রামগুই (গুইসাপ) বলে মনে হচ্ছে। ওই স্থির চিত্র প্রথমে দেখলে এতো ঝামেলা হতোনা। খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পুকুরে কুমির সাদৃশ্য বস্তু দেখা গেছে, আলো সল্পতার কারণে আমরা বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হোতে পারিনি। এখন প্রাণীটি অন্য কোথায়ও চলে গেছে। এত বড় আকারের রামগুইও সচরাচর দেখা যায় না।এ কারণে বিষয়টি ঘোলাটে হয়েছে।

 

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, পুকুরে জাল ফেলে কুমিরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এব একটি ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে ওই প্রাণীটি রামগুই (গুইসাপ)।