বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের ব্রিফ করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের ব্রিফ করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুতে চারটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। জাতিসংঘ, কাতার এবং বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এসব সম্মেলন সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করতেই ব্রিফিংটির আয়োজন।
আসছে ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গাবিষয়ক আরেকটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর কাতারের দোহায় আগামী ৬ ডিসেম্বর আয়োজিত হবে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর পূর্তির দিনে (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রোহিঙ্গাবিষয়ক আন্তর্জাতিক দূত, বিদেশে বাংলাদেশের মিশন, জাতিসংঘ সংস্থা এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা প্রতিনিধি ও বিদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা নেতারা অংশ নেবেন।
তিন দিনের এই আন্তর্জাতিক আয়োজন হবে আগামী ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট। সম্মেলনে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শরণার্থী শিবির প্রদর্শনীর পাশাপাশি পাঁচটি কর্ম অধিবেশন থাকবে।
এসব অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানো, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে আশার সঞ্চার, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খোঁজা।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আজকের (রোববার) ব্রিফিংয়ে বিদেশি মিশনপ্রধানদের এ উদ্যোগগুলো সম্পর্কে অবহিত করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সেই থেকে টানা আট বছর ধরে দেশে ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।
বৈশ্বিক নানা ঘটনা এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় সংকটটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ হারিয়েছে, কমেছে মানবিক সহায়তাও। এই প্রেক্ষাপটেই নতুন করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।