
শেখ আব্দুস সালামঃ
খুলনার পাইকগাছার কাশিমনগরে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে সদ্য নির্মিত দ্বিতল বিশিষ্ট গ্রামীণ বাজার ভবনটি হস্তান্তরের আগেই এর বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরেছে। অনেক জায়গায় খসে পড়ছে প্লাস্টার।
জানা গেছে, দেশব্যাপী গ্রামীণ হাটগুলোকে আধুনিকায়নে গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারের সুবিধা বাড়ানো, গ্রামে ব্যবসার পরিবেশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে অপরিকল্পিত ভাবে উপজেলার কপিলমুনিতে বৃহৎ বাজার রেখে কাশিমনগরে ২০২১ সালের দিকে (সিআরএমআইপি) প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৯২ লক্ষ, ৪৬ হাজার, ৯৭৬,১৮ টাকা ব্যায়ে সেখানে ৪ তলা ফাউন্ডেশনের একটি দ্বিতল বিশিষ্ঠ গ্রামমীণ মার্কেটের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজটি বাস্তবায়ন করতে না পারায় যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে এতদিনে হস্তান্তর করতে পারে নি। সর্বশেষ শুরু হয়েছে এর হস্তান্তর প্রক্রিয়া।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় দফায় ভবনটির ফাঁটলের পুটিং ও খসে প্লাস্টার ঢাকতে নতুন করে রং টেনেছে। তবে এতেও মূল ভবনের সকল ফাঁটল ঢাকতে পারেনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীতে শম্ভুক গতিতে এর কাজ চালিয়ে যায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাই যথাসময়ে এর নির্মাণ কাজ শেষ করতে না পারায় এর হস্তান্তর প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারেনি। যদিও চলতি বছর এর কাজ শেষ করলেও নির্মাণ সন হিসেবে লিখে রেখেছে ২০২২ সাল।
তৎকালীন এমপি ও সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি অপিরকল্পিতভাবে করেছে। এখানে এই ভবন কেউ ব্যবহার করবে না, সে পরিবেশ নেই, বৃহৎ কোন বাজারে হলে ব্যবহার যোগ্য হতো। সরকারের টাকা অপচয় ছাড়া হওয়া ছাড়া কোন কাজে আসবে না ।
ভবনটি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নানজনীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাফিন শোয়েবসহ প্রতিনিধি দল মার্কেটটির পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা এর নানা অসংগতির বিষয়গুলি তুলে ধরেন। তবে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার বিশ্বাস দ্যর্থহীন কন্ঠে জানান, ওসব ফাঁটল কোন ব্যাপারইনা, দেখতে হবে যে, ভবনের মূল কাঠামোর কোথাও ফাঁটল ধরেছে কিনা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম জানান, ভবনের বিভিন্ন অংশে সমস্যা পাওয়াই ভবনটি গ্রহণ করা হয়নি।