নিজস্ব প্রতিবেদক: সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও অর্থনীতিবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের বহু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাঁর দাবি, গণতন্ত্রের বিকাশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই—ভালো নির্বাচন আয়োজনের লড়াই তারা চালিয়ে যাবেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম জানান, নির্বাচনী ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে একাধিক নির্বাচনী আসনের জন্য নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন ও নির্বাচনী ব্যয় নজরদারি করার বিষয়েও কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি সুপারিশ গ্রহণ করলেও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে কমিশন।
নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল গেজেটে প্রকাশের আগে কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা সার্টিফাই করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিধানের বিষয়টি নিয়ে আরপিও অধ্যাদেশে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেয়ার বিধান করা হয়। তবে আরপিও অধ্যাদেশ অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের সর্বশেষ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নের কপিও জমা দিতে হবে। একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করার বিষয়টি আরপিও অধ্যাদেশে উপেক্ষিত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রাখা এবং প্রতি ৫ বছর পর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি আরপিও অধ্যাদেশে উপেক্ষা এছাড়াও কমিশন কিছু কিছু সুপারিশ গ্রহণ করেছে। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেয়ার পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধানের সুপারিশটি উপেক্ষিত আরপিও অধ্যাদেশে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠনের পর ১৮টি ক্ষেত্র সংস্কারে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে এ সংস্কার কমিশন।