ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না সরকার : বাংলাদেশ ন্যাপ

শনিবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সরকারের দুর্নীতির কারণে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের দেয়া তথ্য দেশবাসী বিশ্বাস করছে না। বরং দেশবাসী মনে করছেন, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। সরকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না সরকার বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

 

তারা বলেন, সারাদেশে যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মেয়ররা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। দক্ষিণ সিটির মেয়র গতমাসে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। দেশবাসীকে ডেঙ্গুতে ফেলে দিয়ে তারা বিদেশে সফর নিয়ে ব্যস্ত।

 

দুর্নীতির কারণে সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার মন্তব্য করে নেতৃদ্বয় বলেন, ডেঙ্গু নতুন কোনো রোগ নয়। এটা প্রতিকারের জন্য সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে উদ্যোগ নেবার প্রয়োজন ছিল, তা নিতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন দুর্বলতা ঢাকতেই তারা (সিটি করপোরেশন) বাড়ির মালিকদের উল্টো জরিমানা করেছে।

 

তারা আরো বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। যাদের ব্যর্থতায় সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

 

নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে পারছে না সরকার। আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে দেখছি, সেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ এর দায় নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনে যারা ক্ষমতায় বসে আছেন, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। ডেঙ্গুররোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পদত্যাগ করা উচিত ছিল আরও আগেই।

 

তারা বলেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা, যথাযথ পরিকল্পনা, পূর্বপ্রস্তুতি ও কার্যকর বাস্তবায়নের ঘাটতির কারণেই সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। সিটি করপোরেশনগুলোর কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিক্ষিপ্তভাবে অকার্যকর কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।