জাতির সংবাদ ডটকম।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ও রাষ্ট্র ভাষা বাংলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক মনে করেন ভূ-রাজনীতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে কোন দলে প্রকৃত রাজনীতি নেই। রাজনৈতিক দলগুলো মূলত দলাদলির রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। রাজনৈতিক বাস্তবতা জনগণের পক্ষে নয়। জনগণ বিশ^াস করে এদেশে ভাল কিছু হতে পারে না। এর দায় রাজনীতিবিদদের। মানুষকে জাগানো এখন বড় রাজনীতি। আজ বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠতে চাইলে তাকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। ১০ সেপ্টেম্বর ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে যুক্তফোরাম আয়োজিত “ভূ-রাজনীতি : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তা ফরহাদ মজহার বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ ছাড়া দুঃশাসনের পতন কোনভাবেই সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগেই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন রাজনীতিতে গভীর সংকট চলছে। বিদেশীরা নানাভাবে দেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। জনগণ চুপ করে বসে থাকলে ভোটের সময় ভোট বসে থাকবে না। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। যুক্তফোরাম সহ যারা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার চায় তারা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসে তাহলে রাজপথই হবে জনগণের উত্তরণের ফয়সালা।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি লেখক-সাংবাদিক ফরহাদ মজহার।
আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ ন্যাপের সাবেক মহাসচিব ইকবাল হোসেন ফোরকান, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মো. জকরিয়া, রাজনীতিবিদ অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক এস.জি কিবরিয়া দিপু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আকবর খান, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. শহীদ মঞ্জু, গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লা খান ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের আহবায়ক মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, সভা প্রধান, গণ রাজনৈতিক জোট (গর্জো), আলহাজ্ব মো. ফজলুল হক, সভাপতি, জাতীয় তরুণ সংঘ, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এড. ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুক্তফোরাম সমন্বয়ক মো. জাকির হোসেন।
যুক্তফোরামের প্রধান সমন্বয়ক চাষী মামুন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বি-দলীয় দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক শক্তির বাইরে নতুন শক্তির অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি গণমানুষের রাষ্ট্র দেখতে চাই। আর এই রাষ্ট্র জনগণকে সাথে নিয়ে তারাই এগিয়ে নেবেন যারা হবেন দেশপ্রেমিক, সৎ ও মানবতাবাদী। যারা প্রতিষ্ঠা করবেন ন্যায়বিচার, সত্যিকারের সার্বজনীন টেকসই গণতন্ত্র এবং নাগরিকদের সম্মান ও অধিকার।