জাতির সংবাদ ডটকম।।
এবি পার্টি’র নেতারা বলেছেন পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি জনগণের উপর ডামি আওয়ামীলীগ সরকারের আরেক নির্যাতনের নাম তীব্র যানজট ও লোডশেডিং। সকাল থেকে ইফতারের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো যানজটে অচল হয়ে পড়ে। গ্রামাঞ্চলে এখনই লোড শেডিংয়ের যে প্রকোপ শুরু হয়েছে তাতে মানুষের জীবনে ভয়াবহ নাভিশ্বাস তৈরী হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্ত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে এসব অভিযোগ করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। উল্লেখ্য মাসব্যাপী গণ-ইফতার কর্মসূচি’র অষ্টম দিনে আজও সেখানে সহস্রাধিক অভাবগ্রস্ত নাগরিকদের মাঝে রান্না করা পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হয়।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সদস্যসচিব সেলিম খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা সহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. ফরহাদ বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আজ তারা ইফতার মাহফিলে হামলা করছে। আমাদের আশংকা এই সরকার যেভাবে চলছে তাতে আগামীতে দেশে আজান হবে কিনা, কোরআন তেলাওয়াত মানুষ করতে পারবে কিনা। সরকার বিরোধীদল দমনে যে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে তা আর মেনে নেওয়া যায়না। ভারতে যেভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে সরকারও সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আরও বলেন; আজ যারা সামান্য যানজট নিরসন করতে পারে না তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আজ বগুড়ায় বেগুন আশি টাকা মণ অথচ ঢাকায় আশি টাকা কেজি। বাংলাদেশে খাবারের কোন সংকট নেই। সিন্ডিকেট করে, অব্যস্থাপনার মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা জনগণের পেটে লাথি মেরে টাকা লুটে নিচ্ছে। একদিকে আমাদের কৃষক মূল্য পাচ্ছে না অন্যদিকে জনগণ খাবার কিনতে পারছেনা। তিনি গাঁজায় ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী শিশুদের নির্বিচার হত্যার তীব্র নিন্দা জানান, এবং ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ভুমিকার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে বলেন, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় একটি দানবীয় শাসন ব্যবস্থা আসীন হয়ে আছে। আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিলে সরকারি দলের লোকজন হামলা করছে। মন্ত্রীরা জিনিস পত্রের দাম কমাতে ভুমিকা রাখতে না পারলেও জনগণের খাবার নিয়ে উপহাস করছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই দানবীয় সরকারের পতনে ভুমিকা রাখতে হবে।
জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর বলেন, এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করার পর মানুষ ইফতার করতে পারছেনা, ইফতারের সময় রোজাদারদের উপর হামলা করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের মুসলিম ঐতিহ্যের উপর হামলা। এর বিরুদ্ধে আমাদের গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি গণ ইফতারের মতো মহতী উদ্যোগের জন্য এবি পার্টিকে ধন্যবাদ জানান।
গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শাহীনুর আক্তার শীলা, এনামুল হক, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম এইচ আরিফ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।