জাতির সংবাদ ডটকম।।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিবিএ সভাপতি মোঃ কায়সার হোসেন এর বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় লক্ষীপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিবিএ সভাপতি মোঃ কায়সার হোসেন এর বিরুদ্ধে বদলি ও সিলেকশন গ্রেড পাইয়ে দেয়ার বিষয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগ তদন্তের নিমিত্ত একজন যুগ্মসচিবকে আহ্বায়ক করে ০৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। নারী কেলেঙ্কারী ও অন্যান্য অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় তদন্ত কমিটি মোঃ কায়সার হোসেনকে অধিদপ্তরের বাইরে বদলি এবং দুদকে মামলা করার সুপারিশ করে ২০২৩ সনের ডিসেম্বরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব মোঃ আসিফ আহসান এর স্বাক্ষরে ১১/০৩/২০২৪ তারিখে তাকে অর্থ ইউনিট হতে লক্ষীপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বদলি করেন। বদলির আদেশ পেয়ে মোঃ কায়সার হোসেন ১১/০৩/২০২৪ তারিখ বিকেল বেলা প্রশাসন ইউনিটে যেয়ে ক্ষিপ্ত ভাবে অধিদপ্তরের বিভিন্ন জনকে বদলি ও দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রশাসন ইউনিটের কর্মচারীগণ তার এরুপ কথা বার্তায় হতবম্ভ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি ও মানহানীকর কথা উল্লেখপূর্বক বেনামী অভিযোগ দিয়েছেন। বেনামী অভিযোগ কর্তৃপক্ষ যাচাই/বাছাই না করেই ইতিমধ্যে কয়েক জনকে বদলি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মোঃ কায়সার হোসেন অনুপ্রানিত হয়ে ক্রমান্বয়ে আরও বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে বেনামী অভিযোগ দিয়েই যাচ্ছেন, ফলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান,স্ট্যান্ড রিলিজ করে মোঃ কায়সার হোসেনকে বদলিকৃত কর্মস্থল লক্ষীপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ১৮/০৩/২০২৪ তারিখের মধ্যেই যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হলেও তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোর্টে বদলি আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মর্মে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে “দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এক আয়ার নিকট থেকে ছেলের চাকরি দেয়ার কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না” মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। সেই সাহসে মোঃ কায়সার হোসেন এখনও কর্তৃপক্ষকে পরোয়া বা তোয়াক্কা করছেন না।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সিবিএ সভাপতি মোঃ কায়সার হোসেন কর্তৃক হুমকি এবং বেনামী অভিযোগ দায়ের করার জন্য তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বেনামী অভিযোগ যাচাই/বাছাই পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছেন।
এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য নেয়ার জন্য মোঃ কায়সার হোসেনের মোবাইলে কল দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।