ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার অভিযোগ

মঙ্গলবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিনিধি।। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ষড়যন্ত্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শেখ হারুন-উর-রশিদকে পরিষদে ডেকে তার সন্ত্রাসী গুন্ডাপান্ডা দিয়ে প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে অপমান অপদস্তসহ খুন ও গুম করার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ও পিবিআইর কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধারন ডায়রী ও অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগে  উল্লেখ করা হয় সন্ত্রাসী ও মাস্তান সাইদুর রহমান রিপন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমান  চেয়ারম্যানের মদদে পরিষদের ভিতরেই প্রকাশ্যে খুন ও গুম করাসহ অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে।

আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শেখ হারুন-উর-রশিদকে অপমন অপদস্তসহ খুন ও গুম করার কথা তদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ না করায় এই মিথ্যা ও অসত্য প্রতিবেদনের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে অত্র ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাগন এই মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ  করাসহ পুনরায় তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবী জানান। ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর দাবী ইউপি  চেয়ারম্যান ডেকে উপস্হিত লোকজন এবং ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতিকুর রহমান এবং পরিষদের সচিব সৈয়দ শাহ নেওয়াজ এর সামনে প্রকাশ্যে তার সন্ত্রাসী গুন্ডাদের দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অভিযোগ করেন। একজন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী সাইদুর রহমান রিপন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে জমি সংক্রান্ত বহুদিন ধরে পারিবারিক কলোহ হয়ে আসছে। এব্যপারে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বরিশাল এর বরাবর এম পি কেস নং ৪০৬/২২ (বাকেরগঞ্জ) ধারাঃ ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৪/৪৫ দায়ের রয়েছে। উক্ত মামলা আদালতে করায় দুই পক্ষকেই আদালত নোটিশ জারী করেছে। এ খবর চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানতে পেরে জনৈক ব্যক্তির দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তার বরাবরে পরিষদে দাখিল করান। পরবর্তিতে চেয়ারম্যান অভিযোগকারীকে পরিষদে উপস্হিত না করে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে  পরিষদে ডেকে উল্লেখিত নামধারী সন্ত্রাসী ও মাস্তান সাইদুর রহমান রিপন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমান দ্বারা  তাকে মারধর খুন গুম করাসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অপবাদ দেয়।এই অপমানকে ভুক্তভোগী  স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পারায় মানষিক ও শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর এর জন্য দায়ী হবেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। অত্র এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে পুনরায় ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ আমলে নিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবী করেছেন।

পরিষদের সচিব সৈয়দ শাহ নেওয়াজ এর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।