আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

সাহাব উদ্দিন (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জমি দখল করতে এক স্কুল শিক্ষককে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাহাব উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন কেরামতপুর এমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম।

অপর আসামিরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরতোরাব আলী গ্রামের মৃত মো. আবদুল হোসেনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক মো. বোরহান উদ্দিন (৬০) ও তার ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০)।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সালাউদ্দিন সাকি মামলা দায়েরের বিষয়টি গনমাধ্যমেকে নিশ্চিত করেন।

আসামি মো. বোরহান উদ্দিন বাদী মো. ফখরুল ইসলামের আপন বড়ভাই এবং সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সালাউদ্দিন সাকি বলেন, ‘সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানিয়া ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।’

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্কুল শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলামকে বাজারে যাওয়ার পথে আসামিরা প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। মেম্বার সাহাব উদ্দিন তাকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা এবং বোরহান উদ্দিন ও তার ছেলে আনোয়ার হোসেন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য আমার চরতোরাব আলী মৌজার খরিদা ৫৪ শতাংশ জমি বিক্রির চেষ্টা করে আসছি। বোরহান উদ্দিন এটি কিনবেন বলে বায়নাও করেন। কিন্তু ছেলের প্রভাব দেখিয়ে মেম্বার সাহাব উদ্দিন ওই জমি দখল করতে বিভিন্ন পাঁয়তারা করে আসছেন। তিনি (সাহাব উদ্দিন) ওই জমি কিনতে বোরহান উদ্দিনকে নিষেধ করেছেন এবং অন্যত্র বিক্রিতেও বাধা দিচ্ছেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় আসামিরা আমার ওপর হামলা করেছেন। আমি প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’

বোরহান উদ্দিন বলেন, ফখরুল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন আমার স্বাক্ষর করা একটি চেক ব্যাংকে জমা দেওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। তাই এ নিয়ে বুধবার ফখরুল ইসলামের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। আমাদের সঙ্গে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিন বলেন, জমি বেচাকেনা নিয়ে দীর্ঘদিন তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর মীমাংসা করার চেষ্টা করেন স্থানীয় সালিশদার মাওলানা রেদোয়ান বারি। বুধবার ফখরুল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন মাওলানা বারির ওপর তেড়ে গেলে তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।