নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪

নোয়াখালী থেকে আব্দুল বাসেদঃ আজ কবিরের হাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়েত বাড়ির পুকুর পাড় থেকে পুলিশ একটি মরদেহ উদ্ধার করে।এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত ফিরোজা বেগম ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিরোজা বেগম স্বামীর ঘরে একা থাকতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ফিরোজা বেগম নিজ শয়ন কক্ষে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহ ঘুম থেকে উঠলে মায়ের ঘরের দুটি দরজা খোলা দেখেন। পরে তাকে তার এক ভাগনে জানান তার মায়ের বসতঘরের সিঁধ কাটা রয়েছে। পরবর্তীতে বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ভিকটিমের পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভিকটিমের এক নাতি তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহকে বিষয়টি জানান।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সব সময় হাতে দুটি স্বর্ণের বালা, গলায় হার, কানে দুল ও হাতে দুটি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই স্বর্ণালংকার লুট করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি কানের একটি দুল কান থেকে নেওয়ার সময় তার কানেও জখম হয়। মরদেহের সাথে বৃদ্ধার ব্যবহৃত কোনো স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণের লোভেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, বৃদ্ধার পা বাঁধা ও মুখে রক্ত ছিল। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড প্রতিয়মান হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।