
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ১২ জন বন্দি আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর দাবি, মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারী কয়েদিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা গুলি চালায়।এ ঘটনায় বারোজন বন্দি আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী। খবর বিবিসি বাংলার।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে দেশটির বাঁকের বৈজনাথ গ্রামীণ পৌরসভার নওবাস্তা এলাকার একটি কিশোর সংশোধনাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় পাঁচজন কিশোর বন্দি মারা যায়। জেন-জি আন্দোলন তীব্র হওয়ার পর বেশ কয়েকজন বন্দি নেপালের বিভিন্ন জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, নেপাল সেনাবাহিনী জানিয়েছে তারা বিভিন্ন কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টাকারী এবং পালিয়ে যাওয়া কিছু বন্দিকে আটক করেছে। গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সপ্তারীর রাজবিরাজ জেলা কারাগার থেকে পালানো ১৯২ জন বন্দিকে আটক করা হয়েছে।
দেশটির কাঞ্চনপুরের চাঁদনী এলাকায় ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় সাতজন বন্দিকে আটক করে নেপালি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ১২ জন বন্দি স্বেচ্ছায় কারাগারে আত্মসমর্পণ করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।
নেপালের গণমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ জনের দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৮ জন।