আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলনে ইতিহাস গড়ল মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারের মর্যাদাপূর্ণ অঙ্গনে রোববার (২৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তি সই করেন।
কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারের মর্যাদাপূর্ণ অঙ্গনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিতে সই করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আওতায় অর্ধপরিবাহী শিল্প, প্রযুক্তি বিনিয়োগ, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও টেকসই জ্বালানি খাতে অংশীদারত্ব জোরদার হবে।
এর আগে একই স্থানে আনোয়ার ইব্রাহিম ও ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথভাবে থাইল্যান্ড–কাম্বোডিয়া শান্তি চুক্তি (কেএল পিস অ্যাকর্ড)-এ সাক্ষর করেন, যা আসিয়ান অঞ্চলের কূটনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূত এডগার্ড ডি. কাগান জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের সফরকে ঘিরে মূলত বাণিজ্য শুল্ক, সরবরাহ শৃঙ্খল, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। তার ভাষায়, মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, বিশেষ করে পশ্চিমা সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের কারণে।
১৯৫৭ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর দুই দেশ ২০১৪ সালে সম্পর্ককে সমন্বিত অংশীদারত্বে উন্নীত করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার ও বিনিয়োগকারী দেশ। ২০২৪ সালে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন রিঙ্গিত (৭১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
বৈঠক শেষে উভয় নেতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা, ন্যায্য বাণিজ্য ও প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।