আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি 

শুক্রবার, মার্চ ২১, ২০২৫

ইবি প্রতিনিধি: 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বাদ ফজর থেকে অবস্থান নেন তারা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

 

জানা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ’র রহস্যজনক ফেসবুক স্টাটাস ভাইরাল হওয়ার পর সারা দেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা না করা ব্যাপারে ষড়যন্ত্র আচঁ করতে পেরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

 

এসময় ইবি শাখা সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ ড্যামি নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের সাধারণ নাগরিকের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। এর পরপরই জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে অসখ্য ছাত্র জনতাকে হত্যা করার মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই টপ ওয়ারেন্টেড ২০০ আসামি ক্যান্টেনমেন্টের সহয়তায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু পরবর্তিতে আমরা হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি ক্যান্টমেন্টে আওয়ামী পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের আভাস। আমরা এই আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে আমরা আশা করেছিলাম যে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা সহ তাদের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু তা তো করা হয়নি উল্টো আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি যে সেনাবাহিনীর একটি পক্ষ এবং দেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা মনে করি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত কোনো দল কোনোভাবেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে না। পুরো বাংলাদেশে আইন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে যে একটি দল গণহত্যা চালানোর পরও কোনো তাদের মধ্যে অনুশোচনা নেই। উল্টো সারা বাংলাদেশে তাদের যে সমর্থক গোষ্ঠী আছে তারা বিভিন্ন সময় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। পতিত শেখ হাসিনার পাশাপাশি ভারত সহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে লেগে আছে। এর সবচেয়ে উপযুক্ত সমাধান হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং এর মাধ্যমেই জুলাই অভ্যুত্থানের জনআকাংক্ষা প্রতিফলিত হবে। এটি যেন আগামী দিনে একটি নজির হয়ে থাকে সেজন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বাদ ফজর আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি এবং চালিয়ে যাবো।