নাগরিক ও রাজনীতিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

 

মারুফ সরকার :

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র ও আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান এমন দাবি করেছেন।

 

তারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র ও আক্রমণ শুরু হয়েছে।’

 

‘এই আক্রমণের অংশ হিসেবেই দেশের শীর্ষ দুই সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের পরষ্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে,’ দাবি বিপ্লবী পরিষদের।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কোনো দলই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। নেতারা মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো কথা বললেও বাস্তবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সংঘর্ষ বন্ধে কোনো ভূমিকা পালন করছেন না।’

 

‘বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। বরং বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের মদদদাতা বিএনপি-জামায়াতপন্থি ছাত্র ও শিক্ষকরাই।’

 

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘জনপ্রশাসন, পুলিশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াত ও পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগপন্থি। ফলে জুলাই গণহত্যা পরবর্তী সন্ধিক্ষণে রাজনৈতিক নেতাদের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তা ও কোনো সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি নির্বাচন আদায়ের তৎপরতার সঙ্গে দলীয় অনুগত কর্মকর্তাদের নিস্পৃহতার যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।’

 

এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি দায়িত্বশীল নাগরিক ও রাজনীতিককে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিরাজমান পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা না-হলে দেশ ক্রমেই আফ্রিকান দেশ লিবিয়ার মতো বিশৃঙ্খল ভূখণ্ডে পরিণত হবে। কাজেই সংঘর্ষ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা ও নির্দেশনা দিতে হবে।