দূর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে: মেজর হাফিজ

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন,বিখ্যাত স্বৈরাচার মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে,এর সংষ্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ,এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন দেয়,তাহলে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই করতে হবে।

 

তিনি বলেন,গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের দুঃশাসনের জন্য আজকে তাদের যে কঠিন পরিনতি হয়েছে,এই পরিনতির জন্য আমরা তাদেরকে শাস্তি দেয়নি,তাদের শাস্তি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে; গজব পরেছে তাদের উপর।সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো দূর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে।

 

ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে সুবাতাস বইবে,এটাই বিএনপি আগামীদিনে প্রমান করতে চায়,তবে যার সূচনা হচ্ছে-এই ধরনের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

 

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের লেকশো’র হোটেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক ও বিএনপি’র ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনাব আমিনুল হক এর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব জনাব মোস্তফা জামান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন অয়ালি সাব্বির,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান সমন্বয়ক আকতার হোসেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে,দেশের ক্রীড়াঙ্গন এর থেকে মুক্ত ছিল না। শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে।

 

তিনি বলেন,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন-তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোন দলীয় ও রাজনীতিকরন ছিল না। তখন মাঠের যারা ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড় ছিল; তাদেরকে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তুলার কারনেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের সাফল্য আমরা দেখেছিলাম।

 

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্মআহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি,এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর),মো. আক্তার হোসেন,আতাউর রহমান চেয়ারম্যান,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ,শাহ আলম,মাহাবুবুল আলম মন্টু,মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,আলী আকবর আলী,মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, জাহাঙ্গীর মোল্লা,রেজাউর রহমান ফাহিম, ডাঃ এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, আবুল হোসেন আব্দুল,শামীম পারভেজ,নুরুল হুদা ভূঁইয়া,রফিকুল ইসলাম খান মেম্বার,এ এস এম খালেদ, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী তাসলিমা রিতা,ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা,কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আরশাদুল আরিস ডল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব মহসীন সিদ্দিকী রনী ছাড়াও দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার,যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন, তেজগাঁও থানা বিএনপির আহবায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু,উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহবায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক,যুগ্ম আহবায়ক এসআই টুটুল,যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান,উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী,মিরপুর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু,আদাবর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন,যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন সরকার, আবুল কালাম আজাদ,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, রুপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হক,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিঃ মজিবুল হক,যুগ্ম আহবায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব,অলিউল হাসনাত তুহিন মাষ্টার, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক,মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী,খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান,সিএম আনোয়ার হোসেন,বনানী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ঈমান হোসেন নূর,ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম মিয়া,বাড্ডা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের বাবু, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নিলুফার ইয়াসমিন,শাহআলী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সোলায়মান দেওয়ান,তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ খোকা,মহিউদ্দিন রাজা,মোঃ চান মিয়াসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬ টি থানা কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর এর ২৬ টি থানাকে ৮ টি গ্রুপে বিভক্ত করে কোয়ার্টার ফাইনাল,সেমিফাইনাল খেলার পরে ২ টি দল নিয়ে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।খেলাগুলো ঢাকার মাঠে দেখা যাবে। জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবলের এই টুর্নামেন্টটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে।