জাতির সংবাদ ডটকম।।
কোন দেশের উন্নয়ন মানে রোড ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট আর বড় বড় বিল্ডিংয়ের উন্নয়ন নয়। দেশের উন্নয়ন মানে দেশের মানুষের জীবন মাণের উন্নয়ন। উন্নয়নের নামে এই দখলদার আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী। আজ আমার বাংলাদেশ পার্টি – এবি পার্টি আয়োজিত মাসব্যাপী গণইফতারের ১২ তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিলারা চৌধুরী একথা বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় গন ইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, দেশে চলছে ভুঁয়া উন্নয়নের মহোৎসব। আওয়ামীলীগ জনগণকে প্রতারিত করে বিগত তিনটার্ম যাবত ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করে জনগণকে উন্নয়নের গান শুনাচ্ছে। শুধু কিছু ব্রিজ আর বড় বড় বিল্ডিং করলেই দেশে উন্নয়ন হয়না। উন্নয়ন মানে দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। মানুষ পনের বছরে ভোট দিতে পারেনি, দ্রব্যমূল্যের কারণে খেয়ে পরে জীবন ধারণ কঠিন হয়ে উঠেছে। অথচ সরকার আমাদের উন্নয়নের অসত্য গান শুনাচ্ছে। মূলত উন্নয়নের নামে বিশেষ সিন্ডিকেট করে দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। যে স্বাধীনতার চেতনার কথা তাঁরা বলে, সেটা বাস্তবায়ন হলে দেশে গরীব থাকার কথা নয়। আজ গরীব মানুষের পড়াশোনা করার উপায় নাই, চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নাই। এভাবে এই দেশ চলতে পারেনা। আপনাদেরকে নিজেদের অধিকার আদায় সচেষ্ট হতে হবে। তিনি এবি পার্টির গণ-ইফতার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিগত পনের বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনা, আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। তিনি জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোট আপনাদের রাজনৈতিক অধিকার। মানুষ যখন রাজনৈতিক অধিকার হারায় তখন তার অন্যকোন অধিকার আর থাকেনা। সরকার যখন ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল করে তখন আর জনগণের কথা তাদের চিন্তায় থাকেনা। এই সরকারেরও একই অবস্থা। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনিদের দমন করছে এই সরকারও তেমনি বিরোধীদল সমুহকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে আছে ভারতের সহায়তায়। এখন আমাদের অধিকার আদায়ে ভুমিকা রাখতে হবে। নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে।
ব্যারিস্টার মিলি বলেন, লুটপাট করে কিছু সরকারের তল্পিবাহক ব্যবসায়ী হাজার হাজার কেটি টাকার মালিক হচ্ছে অথচ দেশের মানুষ খেতে পারছেনা। এমপি মন্ত্রীদের ছেলে মেয়েরা বেগম পাড়ায় থাকছে অথচ আমার দেশের মানুষের ঘর নেই। মন্ত্রী, এমপি সচিবরা হাঁচি দিলেই চিকিৎসা নেয় সিঙ্গাপুরে অথচ দেশের মানুষের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। সরকারের মন্ত্রীরা বলে দেশের মানুষের কোন সমস্যা নাই, সেই সাথেই কিছু দালাল একই সুরে কথা বলে। আসলে এরা জনগণের সরকার নয়। আগামীতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ভুমিকা রাখতে হবে।
গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিনের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, আমেনা বেগম, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ি থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।